নিয়ন ভোরের শহর
দীপান্বিতা দে রায়
একটা শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে হাজারও ব্যক্তিগত গল্প। শহর পাল্টায়, সময় পাল্টায়, প্রতিটি ইটের গাঁথুনিজুড়ে রয়ে যায় প্রেম-অপ্রেমের গোপন কাহিনী। ঝিরঝিরে টিভির অনুষ্ঠান, টেপ ক্যাসেটের গান, পাড়ার অলিতে গলিতে ক্রিকেট - নব্বই দশকের সবটা জুড়েই এক আলস্যমাখা নস্টালজিয়া। কখনো সেই নস্টালজিয়ায় হারিয়ে যাওয়ার গল্প, কখনো ভালোবাসার দুটি মানুষের মধ্যে পাহাড় সমান দূরত্ব পেরিয়ে একে অপরের কাছে ফিরে আসার গল্প। মেঘলা দিনে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালে যেমন নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মধ্যেও একটা মন কেমনের গল্প লেখা হয়। জানালার কাছে থেকে সরে আসলেই হয়। কিন্তু হয়ে ওঠেনা। শুধু মনে হয় বৃষ্টি আসুক। সব ধুয়ে মুছে নতুন গল্প নিয়ে বৃষ্টি আসুক। তবে গল্পেরা কখনো আবার পথ হারায় ইতিহাসের পাতাতেও। রাজা রানীর গল্প নিয়ে তৈরি হয় এক কুহেলী রহস্যের মায়া জগৎ। আবার কেউ কেউ অচেনা মুখোশের আড়ালে আত্মগোপন করে প্রিয়জনের ছদ্মবেশে। তাদের চিনে ওঠার আগেই গল্পের পথ হারিয়ে যায় চোরা পথের অলিগলিতে। এসব পেরিয়ে যদি ভাবা হয়, কেমন হতো যদি সেই নব্বই দশকের শহর হতো এক সাই-ফাই শহর? আধুনিকতার জাদুকাঠির ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে ওঠা সব পেয়েছির সেই দেশ। কেমন হতো সেই দেশের গল্প! এই বইটির প্রতিটি পাতায় উঠে এসেছে জীবনের নানাদিক। চরিত্রগুলোর কেউ জীবন থেকে তুলে আনা, কেউ নিছক লেখিকার কল্পনার রঙে রঙিন।
লেখিকা পরিচিতি :
জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৭শে এপ্রিল, দুর্গাপুরে। বর্তমানে কলকাতা নিবাসী। বর্ধমান উইমেনস কলেজ থেকে ভূগোলে স্নাতক এবং বি.এড ডিগ্রি অর্জন। বর্তমানে গৃহ শিক্ষিকা, এক কন্যা সন্তানের মা এবং গৃহবধূ।
লেখালেখি শুরু স্কুলের ম্যাগাজিন থেকে। লেখার পাশাপাশি পড়তেও আগ্রহী বিভিন্ন জনরার সাহিত্য। জনপ্রিয় কিশোর পত্রিকা "জলফড়িং” এবং কিশোর ভারতীতে প্রকাশিত হয়েছে নিজের গল্প। "বিভা পাবলিকেশন" থেকে "আবছায়া", "বর্ণলহরী" থেকে দুটি সংকলন "পঞ্চদশ বিভীষিকা" এবং "এখনও কুয়াশা", রূপম তুহিনা, পালক এবং মাথামোটার দপ্তর পাবলিকেশন থেকেও চারটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও লালমাটি প্রকাশনী থেকে একটি প্যাস্টিশ সংকলন এবং বইচই পাবলকেশন থেকে ভৌতিক সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এটি লেখিকার প্রথম একক গল্পের সংকলন। পাঠক প্রিয় হয়ে উঠুক বইটি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.