অন্ত্যেষ্টিশিল্প
ইতিহাস, নৃতত্ত্ব, শিল্পনীতি ও অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে
সুদীপ্ত পাল
মানুষ যে আর পাঁচটা জীবের থেকে আলাদা, তার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ সম্ভবত মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির বিপ্লব বা 'কগ্নিটিভরেভলিউশন'-- যার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকাশ মানুষের বিমূর্ত চিন্তার ক্ষমতায়। এই ক্ষমতার বলে বলীয়ান মানুষ কল্পনা করতে পারে এমন কিছুর যা তার প্রত্যক্ষের বাইরে। তা থেকেই যেমন সৃষ্টি বিজ্ঞানের, তেমনই মানুষের বিমূর্ত ধারণার প্রাচীনতম প্রকাশ শিল্পে ও ধর্মে। আর দুইয়েরই আদিমতম চর্চার সাক্ষ্য বহন করে মৃত্যুভাবনা। মৃত্যুতেই জীবনের শেষকে সত্য বলে মানতে না চাওয়া মানুষ পূর্বপুরুষের স্মৃতি বা পরলোকের কল্পনাকে রূপ দিয়েছে অন্ত্যেষ্টিশিল্পে প্রাগিতিহাস থেকে আজকের জগতে। এইন গজালের মুখোশ থেকে মিশরের পিরামিড, সাঁচির স্তূপ থেকে আগ্রার তাজমহল বিশ্ব শিল্পের বহু শ্রেষ্ঠ কীর্তিই অন্ত্যেষ্টিশিল্প, যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে তাদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত। পেশায় প্রযুক্তিবিদ হয়েও সেই প্রেক্ষিতকে ঐতিহাসিক তথ্যনিষ্ঠার সাথে বিশ্লেষণ করা এবং প্রাগিতিহাস, পাশ্চাত্য, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যের বিচিত্র অন্ত্যেষ্টিশিল্পের ধারাকে সহজবোধ্য ও সুখপাঠ্য ভাষায় তুলে ধরার জন্য সুদীপ্ত পাল প্রশংসার্হ। এ বই নিছক শিল্পকীর্তির বিবরণ নয়, প্রাচীন মানুষের কৃৎকৌশলের কৃতিত্বকে গ্রহান্তরের কল্পিত প্রাণীর উপর আরোপের অযৌক্তিক চেষ্টাও নয়, ঐতিহাসিক উপাদানের ভিত্তিতে অন্ত্যেষ্টিশিল্পের আলোচনা, উপযুক্ত তথ্যসূত্রের উল্লেখ সমেত। মানবচেতনার প্রকাশের এক অন্যতম ধারা সম্পর্কে এরকম মনোজ্ঞ বই বাঙালি পাঠকের প্রয়োজন ছিল। --- ড. কণাদ সিংহ, সহকারী অধ্যাপক, প্রাচীন ভারতীয় ও বিশ্ব ইতিহাস বিভাগ, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি