বাঙালি মনীষার সশ্রদ্ধ উদ্যাপন
আজ এক যুগসন্ধিক্ষণে উপনীত আমাদের জাতি, আমাদের দেশ, আমাদের একলা শ্যামলা গ্ৰহখানি।
পুরোনো যুগের ইট-কাঠ-পাথর খসে পড়ছে সময়ের প্রচণ্ড প্রহারে। আবার নতুনের আগমনের পদক্ষেপ এখনও দৃঢ় নয়, সমাজের নবীন যাত্রাপথ এখনও অজ্ঞাত, অসংজ্ঞাত। পুরোনো আচার সংস্কার মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা কমে আসছে কিন্তু নতুনের উচ্ছ্বাস প্রকাশের আয়োজন শিকড় চারিয়ে দিতে পারেনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে।
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, হৃদয়ে অতীতের ছায়া আর চোখে ভবিষ্যতের হাতছানি নিয়ে আজ এই বর্তমানে আমরা সকলেই কমবেশি দ্বিধাগ্ৰস্ত। সঠিক যাপনপথের সন্ধানে রত।
আমাদের মনে হয়েছে এই সময়ে আমাদের দিশা দেখাতে পারে একমাত্র পূর্বজদের আশীর্বাদ, কীর্তিমানদের যাপিত জীবন থেকে উৎসারিত অনুপ্রেরণা।
বাঙালির ইতিহাসে কীর্তিমান মানুষের অভাব নেই, অভাব নেই মহৎ জীবনগাথার। আজ সময়ের এই প্রদোষক্ষণে তাঁদের কয়েকজনের জীবনের আলোয় ভবিষ্যতের যাপনপথটি উজ্জ্বল করে তোলার আশা রেখেছে অন্তরীপ। এই দ্বিধাদ্বন্দ্বদীর্ণ বছরের শেষে তাই অন্তরীপের বিশেষ সংখ্যার উদ্যোগ ‘হে মহাজীবন’।
বাণী-সংকলন বা কর্মকাণ্ডের শুষ্ক পর্যালোচনা নয়। অন্তরীপের এই বিশেষ সংখ্যাটি ভরে রয়েছে বাঙালির মনীষী ও মহীয়সীদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও সরস প্রবন্ধে।
সাহিত্যের এই মহা-আয়োজনে মহাজীবনের উদ্যাপন হয়েছে সামাজিক সাম্য-ভালোবাসা-দুঃসাহসী বন্ধনহীনতা-উচ্চকিত প্রতিবাদের।
অন্তরীপ চায় মহাজীবনের এইসব আলোকবর্তিকা দিশারি হয়ে উঠুক সাধারণের ধূসর বর্তমানে— এই আয়োজনের সাফল্য বুঝি সেখানেই রাখা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.