পদ্মযোনি
শুভব্রত বসু
শশীমণি দাসী। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের শেষ মাহারি দেবদাসী। ১৯৩০ সালে সে এসেছিল পুরীর মন্দিরে।
তৎকালীন মহাশূঙ্গারি দয়িতাপতি সুদেবের পৌরোহিত্যে তার অভিষেক হয়েছিল। সে হয়েছিল ভগবানের রক্তমাংসের স্ত্রী।
মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী তার জীবন চলছিল, যেমন চলত অন্যান্য মাহারি-গাহানিদের।
কিন্তু ছন্দপতন ঘটল। দয়িতাপতি সুদেবের বালক পুত্র বীরভদ্র প্রেমে পড়ল শশীমণির। মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির মায়লাপুর সুন্দরেশ্বর শিবমন্দির থেকে পালিয়ে এসেছে তিনজন নাবালিকা দেবদাসী। অকথ্য অত্যাচার, জল ও খাদ্য আর স্থানের ভয়াবহ অভাবই এই পলায়নে তাদের বাধ্য করেছে। তারা ঘটনাক্রমে আশ্রয় পেল এমন একজন মানুষের বাড়িতে, যার থেকে সুরক্ষিত জায়গা পৃথিবীতে আর নেই।
শিবাঙ্গী নাবালিকা। তাকে দেবদাসী হিসেবে পুরীর মন্দিরে উৎসর্গ করেছে তার হতদরিদ্র পরিবার। সুণাল সংবাদ পেয়ে মাদ্রাজ থেকে পুরী এসেছে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে বলে। এই সূত্রে তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে মন্দিরের সেবায়েত পতিতপাবন পণ্ডা ও রথ নির্মাণের শ্রমিকদের প্রধান বিশ্বকর্মা মহারাণার সঙ্গে। সে পুরী মন্দির দেখছে, চিনছে; জানছে অসংখ্য অজানা তথ্য।
ভারতবর্ষের ইতিহাসে এক যুগসন্ধিক্ষণ ১৯৪২ সাল। 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলন ঘোষণা করেছেন মহাত্মা গান্ধী। দক্ষিণ ভারতীয় রাজনীতি ও কংগ্রেসের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন কংগ্রেস ছেড়ে আসা দ্রাবিড় মুন্নেত্রা নেতা ই. ভি. রামস্বামী পেরিয়ার। আছেন রাজা গোপালাচারি, সরোজিনী নাইডু, এন রাঘবন- বার অ্যাট ল।
এই সময়ের প্রেক্ষাপটে দেবদাসীদের জীবন-সংঘর্ষ এবং ডঃ মুথুলক্ষ্মী রেড্ডির দেবদাসী প্রথা বিলোপ আন্দোলনের এক প্রায় পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ও পুরীর শেষ মাহারি দেবদাসী শশীমণি দাসীর জীবনের কাহিনি
'পদ্মযোনি।'
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি