পথের পাঁচালী : পত্রিকা পাঠ
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ভূমিকা ও সম্পাদনা : যশোধরা গুপ্ত
হরিহর রায় একজন লেখক। ‘নামজাদা না হলেও, বাতিকগ্রস্ত’। গীতগোবিন্দ বাংলা পদ্যে অনুবাদ করেন তিনি, লেখেন ভ্রমণকাহিনি। অপু প্রসন্ন গুরুমশাইয়ের বিচ্ছিরি পাঠশালা ছেড়ে ভর্তি হয় রাজু রায়ের মন-ভালো-করা পাঠশালায়। অন্যদিকে কাশী-প্রবাসের সময় নন্দবাবুর ঘরে গিয়ে এমন এক কুৎসিত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় অপু, যাতে সে সহসা ‘আতঙ্কে ব্যাকুল, দিশেহারা’ হয়ে পড়ে!
কোথায় পাব এসব আখ্যান?
না, ‘পথের পাঁচালী’র চেনা গ্রন্থপাঠে এমন কিছু পাওয়া যাবে না। এসব ধরা আছে ‘বিচিত্রা’র পত্রিকাপাঠে। পত্রিকাপাঠ থেকে গ্রন্থপাঠে পৌঁছোনোর সময় বস্তুত প্রত্যেক পাতায় নিজের পুনর্বিবেচনার চিহ্ন রেখে যান বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট বড়ো অসংখ্য পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দুটি পাঠ যেন দুটি স্বতন্ত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি বসিয়ে দেয় আমাদের।