রাজা রামমোহন রায়
রমাপ্রসাদ চন্দ
রাজা রামমোহন রায় জন্মসার্ধদ্বিশতবার্ষিকী
সম্পাদনা : অর্ণব নাগ
'রাজা রামমোহন রায় বিলেত যাওয়ার সময়ে যে ছেলেটিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর নাম রাজারাম। কিন্তু ব্রজেন্দ্রনাথ প্রমাণ করতে চেষ্টা করলেন, এর আসল নাম শেখ বকসু, রামমোহনের জারজ সন্তান। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তর্ক চলল প্রবাসীতে, এবং যতদূর মনে পড়ে মডারন রিভিউতেও। শেষপর্যন্ত রমাপ্রসাদ চান্দেরই জয় হল। তিনি প্রমাণ করলেন, রাজারাম বিশুদ্ধ রাজারামই, রামমোহনের পুত্র। এই পরাজয় ব্রজেন্দ্রনাথকে কিছু দমিয়ে দিয়েছিল।'-- পরিমল গোস্বামী
রাজা রামমোহন রায়ের প্রয়াণ শতবর্ষ (১৯৩৩) উপলক্ষ্য করে তাঁর একান্ত ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবন নিয়ে শুরু হয়। কাটা-ছেঁড়া। প্রখ্যাত প্রত্ন-গবেষক ও ইতিহাসবিদ রমাপ্রসাদ চন্দ প্রমাণ করেছিলেন এ বিষয়ে প্রচারের তুলনায় অপপ্রচারের আধিক্যই ছিল সমধিক। এই প্রেক্ষিতে যতীন্দ্রকুমার মজুমদারের সহযোগিতায় ও রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রমাপ্রসাদ চন্দ যে আদালতি সাক্ষ্যের নথি ও সরকারি দলিল-দস্তাবেজ উদ্ধারে প্রয়াসী হন, তা রামমোহনের অপবাদ অপনোদনে সমর্থ হয়। এই সূত্রে রমাপ্রসাদ তাঁর মাতৃভাষায় যে প্রবন্ধ-নিবন্ধগুলি রচনা করেন তা বহুযুগ ব্যাপী অনাদৃত ও অব্যবহৃত।। আমরা রাজা রামমোহন রায়ের জন্মসার্ধদ্বিশতবর্ষের প্রাক্কালে মূলত প্রবাসী ছাড়াও মানসী ও মর্মবাণী, ছোটদের মাধুকরী, বঙ্গলক্ষ্মী, আনন্দবাজার পত্রিকার মতো সাময়িকীর পৃষ্ঠা থেকে রমাপ্রসাদ চন্দের রামমোহন সংক্রান্ত যাবতীয় লেখনীগুলি প্রথমবার সংকলিত করে আদতে ইতিহাসের পাদ-পূরণেই সচেষ্ট হয়েছি। এই বইতে শুধু রামমোহনের সমসাময়িক যুগচ্ছবিই ধরা থাকবে না, সম্পাদকীয় সৌজন্যে তাঁর প্রয়াণ শতবার্ষিকীর তাপ-উত্তাপও গ্রন্থবদ্ধ হয়ে রইল।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি