শ্রীময়ী মা
নবকুমার বসু
বাঙালির প্রিয় সাধক শ্রীরামকৃষ্ণদেব আধুনিক ভারতবর্ষে এক সহজিয়া ভাবান্দোলনের জনক। তাঁরই লীলাসহচরী শ্রীমা সারদাদেবী যাপন করেছিলেন অনাড়ম্বর কিন্তু অসামান্য একটি জীবন। নবকুমার বসু-র দুটি উপন্যাসে প্রকাশিত হয়েছে শ্রীমায়ের জীবনের পরস্পর-পরিপূরক দুটি পর্ব। প্রথম পর্ব 'লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ'। সারদামণির জন্ম, গদাধরের সঙ্গে তাঁর বিবাহ, শৈশব থেকে কৈশোর এবং কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের মধ্যে তাঁর অলৌকিক উত্তরণ- অসাধারণ সেইসব কাহিনি এখানে চিত্রিত। শ্রীরামকৃষ্ণের মহাপ্রয়াণের মুহূর্ত পর্যন্ত এগিয়েছে পরম মমতায় লেখা এই আলেখ্য। শ্মশানভূমিতে শোকে পাথর মা সারদা দেখছেন পশ্চিম আকাশে গোধূলির কমলা রং। ব্রহ্মলোকে চলে গেলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। সারদামণি তার পরেও অনেকদিন বেঁচে ছিলেন। কখনও কামারপুকুর, কখনও দক্ষিণেশ্বর, কখনও আবার জয়রামবাটি। যেন বিশ্বসংসারের তিনি জননী। সমস্যা দেখা দিলে তাঁর কাছে ছুটে যাচ্ছেন বিবেকানন্দ, নিবেদিতারা। এভাবেই সব ভার নিজের মাথায় বহন করতে করতে সারদামণি হয়ে উঠলেন শ্রীমা। বিশ্বজননী সারদাদেবীর জীবনের দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ বৈধব্যের সূচনা থেকে নির্বাণ পর্যন্ত জীবদ্দশা নিয়ে নবকুমার বসু লিখেছেন 'কেউ পর নয়'। 'শ্রীময়ী মা' গ্রন্থনামে উপন্যাসদুটির যুগ্ম-প্রকাশে যেন পূর্ণ হল এক পরম ব্রত। জগন্মাতার জীবনকাহিনি পাঠককে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অমৃতধারায়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি