শ্বেতপাথরের থালা
বাণী বসু
যে-বয়সে স্বামীকে হারাল বন্দনা, সেই বয়সে অনেকের তো বিয়ে পর্যন্ত হয় না আজকাল। কিন্তু বন্দনা তো ঠিক এই সময়ের নয়। তার জীবনের এই আকস্মিক ছন্দোভঙ্গ আরও চার দশক আগের ঘটনা। বনেদী বাড়ির অন্দরমহলে তখনও প্রবেশ করেনি সংস্কারমুক্তির সামান্যতম হাওয়া। সাবেকী নিয়মের শ্বশুরবাড়িতে বন্দনার জন্য নিতান্ত স্বাভাবিকভাবেই তাই নির্দিষ্ট হল শ্বেত পরিধান এবং শ্বেত পাথরের থালার নিরামিষান্ন। চার বছরের শিশুপুত্র অভিরূপকে নিয়ে শুরু হল বন্দনার অকালবৈধব্যের এক দুশ্চর জীবন। সেই জীবন তথা জীবনযুদ্ধেরই এক তাৎপর্যমণ্ডিত কাহিনী 'শ্বেত পাথরের থালা'। অসাধারণ দক্ষতায় ও অকৃত্রিম মমতায় তাঁর শক্তিশালী কলমে বাণী বসু একদিকে যেমন শুনিয়েছেন বন্দনার জীবনের যাবতীয় ঘাতপ্রতিঘাতের দুরন্ত কৌতূহলকর বৃত্তান্ত, অন্যদিকে তেমনই অতি সুনিপুণভাবে এঁকেছেন অল্প-অল্প করে বদলে যাওয়া মূল্যবোধের এবং সামাজিক কাঠামোর ছবিটিকে। বন্দনা যেন সব ছাপিয়ে নারীমুক্তি চেতনার এক জীবন্ত প্রতীক, বহু নিষ্ঠুর নিপীড়ন, ভ্রান্ত বিশ্বাস এবং অযৌক্তিক সংস্কারের বিরুদ্ধে যার দৃঢ়, সাহসী ও সঙ্গত প্রতিবাদ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি