সিংহদমন

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন:
কৌশিক মজুমদার
প্রকাশক:
বুক ফার্ম

দাম:
₹275.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:
প্রকাশক
বুক ফার্ম
কলেজ স্ট্রীট
(0 ক্রেতার পর্যালোচনা)

সিংহদমন 

কৌশিক মজুমদার 

সিংহদমন লেফটেন্যান্ট সুরেশ বিশ্বাসের আশ্চর্য অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ জীবন নিয়ে লেখা এক উপন্যাস। ব্রাজিলেকে নাথেরয় যুদ্ধে একা হাতে জেতানো এই বাঙালী বীরের কথা আজকের বাঙালী ভুলেই গেছে হয়ত। জীবনের শুরু তাঁর হিপোড্রোমে পশুর খেলা দেখিয়ে। সিংহের সঙ্গে অকুতোভয় এই ভদ্রলোক কুস্তি করতেন জীবনের বাজি রেখে। তাঁর জীবন হার মানাবে যেকোন কাল্পনিক উপন্যাসকেও, সঙ্গে সুরেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি, চিঠি, নথি ও সুরেশকে নিয়ে বাংলায় প্রথম ও একমাত্র কমিকস।

সিংহদমনের ভূমিকা থেকে :-

********************************** 

‘সিংহদমন’ উপন্যাসটি আদৌ সুরেশ বিশ্বাসের প্রামাণ্য জীবনী নয়। এটি তাঁর জীবনের নানা উপাদান নিয়ে লেখা ইতিহাস-আশ্রয়ী একটি কাল্পনিক উপন্যাস, যা ইতিহাসের মতোই রোমাঞ্চকর। এখান থেকে নতুন কিছু তথ্য পাবার সম্ভাবনা নেই, বরং এর পুরোটা সত্যি ভাবলে অনেক জায়গায় ঠকতে হতে পারে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অন্তরীপ পত্রিকার ‘হে মহাজীবন’ সংখ্যায় এই উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ পায়। এটিকে গ্রন্থাকারে আনব, সে ইচ্ছে শুরুতে ছিল না। কিন্তু পাঠকদের প্রশংসা এবং যাঁদের সেই সংখ্যাটি পড়ার সুযোগ হয়নি তাঁদের অনুরোধে উপন্যাসটিকে কলেবরে কিছুটা বড়ো করে বই আকারে নিয়ে আসা গেল। শিল্পী রঞ্জন দত্ত মূল লেখায় ছবি এঁকেছিলেন। এই বইয়ের শিল্পীও তিনি। তবে অতিরিক্ত বেশ কিছু ছবি তিনি এই বইতে যোগ করেছেন।

বইয়ের পরিশিষ্ট অংশে বেশ কিছু চিঠি আছে। তাদের মধ্যে প্রথমটি মিস্টার পুন্যান্ডো লিমস লিখেছিলেন সুরেশের বাবাকে। বাকি চিঠিগুলো সুরেশের তাঁর প্রিয় কাকাবাবুকে লেখা। উপন্যাসে বেশ কিছু চিঠির উল্লেখ

থাকলেও তাঁদের অনেকগুলোই লেখকের কল্পনাপ্রসূত। আসল বলতে এই কটা। তবে পাঠকরা নিশ্চয়ই বুঝবেন, এদের অবলম্বন করেই উপন্যাসে চিঠির অবতারণা করা হয়েছে। 

একেবারে শেষে ড. শোভন সান্যাল মহাশয়ের লেখা একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ আছে। সান্যাল মহাশয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্তুগিজ বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক। ২০১৮ সালের ৯-১০ অক্টোবর দিল্লিতে ব্রাজিল ও ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক কলোকিয়ামে তিনি এই পেপারটি পাঠ করেন। বেশ কিছু নতুন তথ্য, বিশেষ করে সুরেশের মৃত্যুর পর তাঁর

পরিবারের অবস্থা ইত্যাদি নিয়ে এই পেপার সুরেশ গবেষণার এক উল্লেখযোগ্য দলিল। সঙ্গের দুষ্প্রাপ্য ফটোগ্রাফগুলোও সেই পেপার থেকেই নেওয়া। আমি কৃতজ্ঞ, উনি এই বইয়ের সঙ্গে সেটিকে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন।

পপুলার কালচারের দিকে নজর দিলে দেখতে পাই, সত্যজিতের এই লাইন আর বনফুলের একটি ছোটোগল্প “বিশ্বাস মশাই”-এর শেষ লাইন ছাড়া সুরেশ প্রায় ব্রাত্যই থেকে গেছেন। বরং কমিকসের দিকে দেখলে দেখতে পাব, দেব সাহিত্য কুটীরের পূজাবার্ষিকী ‘মণিহার’-এ (১৯৭০) ময়ূখ চৌধুরী ‘বঙ্গদেশের রঙ্গ’ নামে আট পাতার একটি কমিকস ছাপেন। তাতে নায়ক সুরেশ বিশ্বাস। সেই গোটা কমিকসটিকেও অবিকল এখানে পুনর্মুদ্রিত করা হল। 

সুরেশ বিশ্বাসের এই রোমাঞ্চকর জীবন পাঠকপ্রিয়তা পেলে এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে। 

-------------

কৃষ্ণনগরের নাথপুর থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে রেঙ্গুন, সেখান থেকে ফিরে লন্ডন, লন্ডন থেকে কেন্ট, তারপর ইউরোপের নানা দেশ ঘুরে সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রাজিল।

ঊনবিংশ শতাব্দীর ঔপনিবেশিক বাংলা। ইংরেজের চাকরি করা পিতার দুরন্ত ছেলেটির পড়াশোনায় মন বসত না। বরং দুষ্টুমি, শিকার, দুঃসাহসিক অভিযান, মল্লযুদ্ধে ঝোঁক ছিল বেশি। এসব করতে গিয়ে তৎকালীন হিন্দু বাঙালি-সমাজের রীতি ভেঙে কখন সে ধর্মান্তরিত হয়ে বিশ্বের দরবারে ভাগ্যান্বেষণে নেমে পড়েছে, ছেলেটি বোধ হয় নিজেই টের পায়নি।

কী না করেছেন তিনি তাঁর ভবঘুরে জীবনে! কতখানি ব্যর্থতার পরও একজন মানুষ সাফল্যের জন্যে মরিয়া প্রচেষ্টা করতে পারেন- তাঁর মতো জলজ্যান্ত উদাহরণ জগৎসংসারে বুঝি কমই আছে। সর্বস্বান্ত অবস্থা থেকে রাজকীয় সমাদর, বৈভব- এক আয়ুতে এমন নাটকীয় উত্থানপতন ক-জন বাঙালির জীবনে ঘটেছে! তিনি কর্নেল সুরেশ বিশ্বাস। একসময় পুরো ইউরোপ যাঁকে চিনত সার্কাসের 'সিংহদমন সুরেশ' নামে। কেমন ছিল সেই চিরভবঘুরে, পশুরাজ-পতি, যুদ্ধজয়ী বীর বাঙালির জীবন? সুরেশ বিশ্বাসের জীবনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস 'সিংহদমন'-এ খোঁজা হয়েছে অধুনাবিস্মৃত সেই মানুষটিকে। 

--------------

লেখক পরিচিতি : 

জন্ম ১০ এপ্রিল, ১৯৮১, কলকাতা। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচ ডি.-তে সেরা ছাত্রের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া Bacillus sp. KM5 এর আবিষ্কারক। বর্তমানে ধান্য গবেষণা কেন্দ্র, চুঁচুড়ায় বৈজ্ঞানিক পদে কর্মরত।

জার্মানি থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা গবেষণাগ্রন্থ Dis- covering Friendly Bacteria: A Quest (২০১২)। তাঁর কমিক্স ইতিবৃত্ত (২০১৫), হোমসনামা (২০১৮), মগজাস্ত্র (২০১৮), জেমস বন্ড জমজমাট (২০১৯), তোপসের নোটবুক (২০১৯), কুড়িয়ে বাড়িয়ে (২০১৯), নোলা (২০২০), সূর্যতামসী (২০২০), আঁধার আখ্যান (২০২০), নীবারসপ্তক (২০২১), এই সব দিনরাত্রি (২০২২) ও ধন্য কলকেতা সহর (২০২২), আবার আঁধার (২০২২), অগ্নিনিরয় (২০২২) সুধীজনের প্রশংসাধন্য।

বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত প্রকাশ পায় তাঁর বই, লেখা। সরাসরি জার্মান থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন ঝাঁকড়া চুলো পিটার (২০২১)। সম্পাদিত গ্রন্থ সিদ্ধার্থ ঘোষ প্রবন্ধ সংগ্রহ (২০১৭, ২০১৮) ফুড কাহিনি (২০১৯), কলকাতার রাত্রি রহস্য (২০২০), একাই একশো (২০২২) এবং কলিকাতার ইতিবৃত্ত (২০২৩)।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.