বই- ভেন্ট্রিলোকুইস্ট
লেখক- মাশুদুল হক
অনার কিলিংয়ের একটা ফর্ম হল কেউ যদি সেক্সুয়াল অ্যাসল্টের শিকার হয়, তাহলে পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে সে ভিকটিমকে মেরে ফেলা হয়। পাকিস্তান ও ইন্ডিয়ায় প্রতিবছর শত-শত এ-রকম হত্যাকাণ্ড হয়। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার এ-ধরনের অনার কিলিং সুইসাইড হিসেবে প্রচার করা হয়। করিম আলি যেটা বললেন, সেটা হল, এই বাড়িতে আলতাফ নামের এক লোকের যাতায়াত ছিল। লোকটা ছিল রুনুর টিউটর, বাড়ি এসে পড়াত। নাজিয়াকে যে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়, একদিন তাকে সেখান থেকে পাকড়াও করা হয়। ধরা পড়ে স্বীকার করে আগেও কয়েকবার এ ঘরে সে ঢুকেছে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। সেদিন সেই টিউটরকে হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় ঢুকিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। মেরে লাশটা জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে ওরা। তার পরপরই তাদের ট্র্যাডিশন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, নাজিয়াকেও মেরে ফেলা হবে। কিন্তু সেটা মেনে নেয়নি রুনু। যখন বুঝতে পারে তারপরও মেরে ফেলা হচ্ছে তখন নিজেই সে পরিণতি আলিঙ্গন করে নেয়, লজ্জায়, জেদে কিংবা অভিমানে!'
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.