ঋতুবদলের মরশুম (উপন্যাস)
শুভংকর গুহ
'শকুন এখন বিরল প্রজাতির পাখি হিসেবে চিহ্নিত।
অনিল সারাভাই জানেন, ভারতবর্ষে শকুন-বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আপনি অন্যতম। তাই তিনি এসেছিলেন আপনার কাছে শকুন হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে। মহারাষ্ট্রে জলাতঙ্ক রোগে মৃত কুকুরগুলির মাংস ভক্ষণ করে শকুনগুলি মরে যায়। খুব দুঃখ করছিলেন এবং নিজেদের প্রথাগত দাহকার্যের প্রথাটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে ভেবে, নিজেও শঙ্কিত হয়ে যাচ্ছিলেন।'
শুভংকর গুহের উপন্যাস 'ঋতুবদলের মরশুম'। বইটিতে প্রকৃতির ক্ষয়ের একটি দিক উঠে এসেছে। শকুনের বিলুপ্তি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন একজন শকুন গবেষক। লং বিলড ভালচার, হিমালায়ান গ্রিফিন, ইণ্ডিয়ান কিং ভালচার, সিনেরিয়াস, ইউরেশিয়ান প্রভৃতি শকুনের প্রজাতি নিয়ে গবেষণা করতে করতে তাঁর জীবনের মুল্যবান সময় ব্যয় করেছেন। শকুনের বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র এক সামাজিক সঙ্কটের সূচনা হয়। তার সঙ্গে গবেষক তার ব্যেক্তিজীবনের বিভ্রমে জড়িয়ে নিজের কথা বলতে থাকেন। একটি মানুষ, যে ধারন করে রয়েছে অনেকগুলি চরিত্রের প্রকাশকে। প্রকৃতি আর জীবজগতের নানান বিভ্রমের মধ্যে জীবনের এক নিয়তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে এই উপন্যাসে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি