'ওসি রাহুলের বাড়ি নৈহাটি। হালিশহরের দক্ষিণে বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত শহর নৈহাটি। রেলপথে গঙ্গা পেরিয়ে ওপারে ব্যান্ডেলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বেশ জমজমাট শহর।
সাব-ইন্সপেক্টর থেকে ইন্সপেক্টর পোস্টে প্রোমোশন হয়ে গত বছরই বিজপুর থানায় পোস্টিং পেয়েছে রাহুল। বিজপুরের ওসি হওয়ার আগে রাহুল যখন চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন খেয়াল বসে ভাগ্য গণনার জন্য গৌতম ওরফে জ্যোতিষী কালিকার চেম্বারে একদিন উপস্থিত হয়। তা-ও প্রায় বছর কুড়ি আগের কথা। গৌতমের তখনই বেশ পসার, কল্যাণীতেই নিজের বাড়ির একতলায় একটা চেম্বার।
ওর ভালো লেগে গেছিল রাহুলকে। বোকা বানিয়ে পয়সা ইনকাম করতে চায়নি ছেলেটার থেকে। বুঝিয়েছিল এইসবের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল মন দিয়ে পড়াশোনা করা। সেই থেকেই রাহুলের ফ্রেন্ড ফিলসফার অ্যান্ড গাইড হল গৌতম। না, জ্যোতিষী কালিকা না, শুধু গৌতমদা। দু-দিন আগের খুনের কেসটা বড্ড জটিল মনে হয়েছে রাহুলের। তাই সকালে এসে হাজির হয়েছে গৌতমদার বাড়িতে, শলা-পরামর্শ করতে। এর আগে বিভিন্ন কেস নিয়ে আলোচনা করেছে দুজনে, কিন্তু সেগুলোতে রহস্য বলে কিছু ছিল না। বৈঠকি আড্ডায় গল্প করা যাকে বলে।
কিন্তু এবারের কেসটা বেশ প্যাঁচালো। গত পরশু লাশ আবিষ্কারের পরে লোকাল মিডিয়া ছাড়াও বেশ কিছু রাজ্যস্তরের মিডিয়াকে সামলাতে হয়েছে গতকাল। জয়েন্ট কমিশনার, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট আইপিএস আনান্দ কিশোর কুমার কাল ঘটনাস্থল ভিসিট করেছেন। কেসটার সবরকম ইনফরমেশন তাকে পার্সোনালি পাঠানোর অর্ডার দিয়ে এসেছেন।'
এই ওয়েবসাইটের কার্যকারিতার জন্য আমরা কুকি ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সঙ্ক্রান্ত তথ্যের জন্য আমরা কুকির সাহায্য নিই। নিচের বটন ক্লিকের মাধ্যমে আপনি সমস্ত রকমের কুকি ব্যবহারে সম্মতি জানাচ্ছেন।