পরাজিত মানুষ যেভাবে ঘুরে ঘুরে দাঁড়ায় সেভাবেই বারবার ঘুরে দাঁড়ায় অদম্য সেন। এই বইয়ের তিনটে গল্পে সেই অদম্য সেনকেই আমরা খুঁজে পাই। অদম্য একজন মারসেনারি। সমাজের চোখে সে অপরাধী। সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়মে সে চলে না। বরং অন্ধকারেই তার বেশি যাতায়াত। খুন করতে তার হাত কাঁপে না। তবে শুধু যে অপরাধ জগতের হয়ে কাজ করে অদম্য তা নয়, বরং কখনও পুলিশ বা মিলিটারির হয়েও কাজ করে সে। অন্ধকারের অধিক অন্ধকার মানুষটার যে আলোর অধিক আলোময় একটা সত্তা আছে সেটা তখন বেরিয়ে আসে। রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারের আঁকাবাঁকা পথেই এগোয় অদম্যর জীবন। ‘বরফের তরোয়াল’ গল্পে তাকে আমরা দেখি অপরাধীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা এক মানুষ হিসেবে। ‘পরির বাড়ি’ গল্পে আবার সে-ই সমাজের চোখে ভেসে ওঠে অপরাধী হয়ে। প্রিয় মানুষকে বাঁচাবার জন্য সে সবার সামনে দাঁড়ায় অপরাধীর বেশে। আর ‘অ্যাডাম’ গল্পে দুই ভিন্ন সময়ের মানুষের কাহিনির মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসে অদম্য সেন হয়ে ওঠা। বোঝা যায় অদম্য কোনও এমনি মানুষ নয়। অদম্য একটা বিশ্বাস, একটা পাল্টা লড়াই। পরাজিত ও বাতিল মানুষের ফিরে আসার আলো-আঁধারির গল্প-অদম্য।
এই ওয়েবসাইটের কার্যকারিতার জন্য আমরা কুকি ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সঙ্ক্রান্ত তথ্যের জন্য আমরা কুকির সাহায্য নিই। নিচের বটন ক্লিকের মাধ্যমে আপনি সমস্ত রকমের কুকি ব্যবহারে সম্মতি জানাচ্ছেন।