বৈষ্ণবসাহিত্যে সমাজতত্ত্ব
ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত
চৈতন্যদেবের মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন ছিল, যা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। তবে এই টানাপোড়েন সত্ত্বেও চৈতন্যদেব মূলধারার সামাজিক প্রবাহে বিলীন হননি। বরং নিত্যানন্দের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভূপেন্দ্রনাথের মতে, নিত্যানন্দই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাংলায় সমাজ-বৈপ্লবিক ভাবনার সূচনা করেছিলেন। তিনি নিত্যানন্দকে "প্রথম সমাজ-বৈপ্লবিক" হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন, যা চৈতন্যদেবের সঙ্গে তাঁর তুলনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। চৈতন্যযুগের বৈষ্ণব সাহিত্যকে সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছে। বইটি তুর্কি আক্রমণের পর হিন্দু সমাজের পুনরুত্থানের প্রচেষ্টা, চৈতন্যদেবের সমাজ গঠনের টানাপোড়েন এবং নিত্যানন্দের সমাজ-বৈপ্লবিক ভূমিকার আলোচনায় সমৃদ্ধ। বৈষ্ণব ধর্ম ও সুফিবাদের সাদৃশ্য, সংস্কৃতির আদান-প্রদান এবং বাংলার সামাজিক পরিবর্তনের ইতিহাস এখানে বিশ্লেষিত হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি