বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র বিরূপাক্ষ রচনাসমগ্র ২
১২.৪.২৯-এ রেডিওতে শুরু হয়েছিল 'মহিলামজলিস', পরে নাম হল 'মহিলামহল'। 'মেঘদূত' ছদ্মনামে এই আসর তিনিই পরিচালনা করতেন। এই আসরে পরবর্তী পর্যায়ে তিনি হলেন 'বিষ্ণুশর্মা'। তাঁর বাচনভঙ্গি, রসিকতা, নাটকীয়তা সহজাত। এরপরে তিনি হলেন বেতার নাটকের পরিচালক। বহু বেতার নাটক পরিচালনা করেছেন বড়ো বড়ো অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে। পাবলিক স্টেজেও তিনি প্রশংসিত। তাঁর দুটি মঞ্চসফল নাটক 'ব্ল্যাক আউট', '৪৯ নম্বর মেস'। তিরিশটির মতো পালাগান রেকর্ড করেছিলেন। ছোটোদের জন্যে বহু গল্প ও কবিতাও লিখেছিলেন।
অবশেষে 'শ্রীবিরূপাক্ষ'। তাঁর এই পরিচয়টিও কম নয়। 'সোশ্যাল স্যাটায়ার।' বেতারে শোনার জন্যে শ্রোতারা উৎকর্ণ হয়ে থাকতেন। সমাজ, জীবন, সংগতি, অসংগতি বিরূপাক্ষের অপেরা গ্লাসে সবই প্রতিফলিত। শুধু কণ্ঠ নয়, কলমের জোরও কিছু কম ছিল না। ঝঞ্ঝাট, বিরূপাক্ষের ঝঞ্ঝাট, বিরূপাক্ষের বিষম বিপদ, বিরূপাক্ষের অযাচিত উপদেশ, বিরূপাক্ষের নিদারুণ অভিজ্ঞতা, অর্জুন বিজয়, সীতারাম, চন্দ্রনাথ, সুবর্ণগোলক ইত্যাদি।
সমাজ জীবন থেকে সুদক্ষ মৎস্য-শিকারির মতো নানা চরিত্র তুলে এনে স্থান করে দিয়েছেন তাঁর রস সাহিত্যে। নিজেকে নিয়ে রসিকতা রঙ্গ-ব্যঙ্গ। এই দংশনে কোনো ক্ষত সৃষ্টি হয় না।
মানুষের সবচেয়ে বড়ো বিড়ম্বনা যখন সে নিজেকে মানুষ ভাবতে ভুলে যায়। শিক্ষা তখনই অশিক্ষা হয় যখন অর্থের মূল্যে তাকে মাপা হয়। বিরূপাক্ষের এই সব রচনা আমজনতার জন্যে।
এক যুগ পরে শ্রীবিরূপাক্ষকে আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব হল। হেরিটেজ বিল্ডিং-এর মতোই, হেরিটেজ সাহিত্য।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি