বৌদ্ধধর্মের ইতিবৃত্ত
সংকলন ও সম্পাদনা : দীপঙ্কর পাড়ুই
প্রাচীনকালে আর্যাবর্ত প্রাচ্য, প্রতীচ্য, উদীচ্য ও মধ্যম চারটি ভাগে বিভক্ত ছিল। উত্তরভাগকে উদীচ্য, পশ্চিমভাগকে প্রতীচ্য ও মধ্যমভাগকে মধ্যম ও পূর্বভাগকে প্রাচ্য বলা হত। দক্ষিণভাগটি পরবর্তীকালে দাক্ষিণাত্য নামে পরিচিত ছিল। আর্যাবর্ত বলতে সাধারণত ভারতের হিমালয় থেকে দক্ষিণের নর্মদা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ভূ-ভাগকে বোঝান হত। আর্যাবর্তের মধ্যে উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল, সিন্ধু গাঙ্গেয় উপত্যকা ও মধ্যভারতের মালভূমি অঞ্চল বোঝাত। প্রাচ্য অর্থাৎ পূর্বভাগের লোকেদের বলা হত 'প্রাচ্যগণ' বা 'মগধবাসীগণ', ইঙ্গো-এরিয়ান ভাষায় বলা হত 'প্রাসী'। প্রাচ্য বলতে শুধু মগধ বোঝাত এমনটা নয় বঙ্গদেশও এই ভূভাগটির মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ বৃহত্তর মগধের মধ্যে বঙ্গদেশ গণ্য ছিল। লক্ষণীয় এই মগধ দেশ থেকেই ভিক্ষুমতের উদ্ভব ঘটেছিল। ভিক্ষুমতই হল বৌদ্ধধর্মের আদি পর্যায়। তবে পূর্বভারতে শুধু মগধ নয় 'মগধ-বিদেহ' অঞ্চল জুড়ে ভিক্ষুমতের বিকাশ ঘটেছিল। প্রাচীনভারতের ভিক্ষুমতের মধ্যেই বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। কালে কালে সেই ইতিহাস পল্লবিত হয়েছে নানা সংযোজন ও বিয়োজনের মধ্য দিয়ে। পল্লবিত বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসকে জানার তাগিদেই এই সংকলন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি