চৈতন্যের শেষ প্রহর
তুহিন মুখোপাধ্যায়
চৈতন্যের অন্তর্ধানের কারণ ও নেপথ্যে বিভিন্ন ঘটনার টানাপোড়েন, স্থান-কাল, অন্তর্ধানের পরে তিনি কোন পথে কোথায় পৌঁছেছিলেন এবং কবে-কোথায়-কিভাবে তাঁর মৃত্যু হয়- এসবই এ গ্রন্থের আলোচ্য বিষয়।
দীর্ঘ পাঁচ বছরের পরিশ্রমে লেখক তথ্য, যুক্তি ও বাস্তব সম্ভাবনার নিরিখে এ সম্পর্কে প্রচলিত প্রতিটি অভিমতের চুলচেরা ও নির্মোহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন কিছু সম্ভাবনার সম্মুখীন হয়েছেন, যা বদলে দিতে পারে প্রচলিত ধারণাগুলিকে।
গ্রন্থাগারের গন্ডী ছাড়িয়ে সন্ধানী লেখক ছুটে গেছেন ওড়িশার দুর্গম পাহাড়-জঙ্গলে, চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন চৈতন্য, স্বরূপ ও গদাধরের সম্ভাব্য গোপন সমাধিস্থল। চৈতন্যের দেহাবশেষ বর্তমানে কোথায় থাকতে পারে সে আভাসও তিনি দিয়েছেন।
'চৈতন্যের শেষ প্রহর' গ্রন্থটি চৈতন্যের অন্তধানকে কেন্দ্র করে রচিত গবেষণাগন্ধী রোমহর্ষক গ্রন্থগুলির থেকে মৌলিকভাবেই আলাদা। এটি আদ্যন্ত একটি গবেষণাগ্রন্থ।
লেখক পরিচিতি :
জন্ম ১৯৫৩, কলকাতা। ১৯৫৮ থেকে রিষড়া (হুগলী)-র স্থায়ী বাসিন্দা।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'শারীরবৃত্ত'-র স্নাতক (১৯৭৩) 'ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ' (কলকাতা) থেকে সাম্মানিক পদকসহ 'ডিপ্লোমা ইন ফিজিওথেরাপি'তে প্রথম (১৯৭৮)।
ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন ধরনের সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। প্রাক্তন রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কর্মী শ্রী মুখোপাধ্যায়
বর্তমানেও 'গল্প উদ্যোগ' নামক সামাজিক সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। নেশা বইপড়া, আড্ডা, বিভিন্ন মেলা-আখড়ায় বাউল সহজিয়াদের সঙ্গ ও তাদের গান শোনা, ট্রেকিং এবং ভ্রমণ।
মন্দির ভাস্কর্য ও ঐতিহাসিক স্থানের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ।
লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন দিকে (বিশেষত লোক সঙ্গীত) প্রবল আগ্রহ ও ভালবাসা।
গল্পকার ও পরিশ্রমী প্রাবন্ধিক। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার ফসল 'লোকায়ত শ্রীচৈতনা' গ্রন্থটি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি