ডি : রাষ্ট্রই যখন নিপীড়ক
লেখক - অরিজিৎ আদিত্য
'ডি' মানে 'ডিটেকশন', 'ডি ভোটার', 'ডিটেনশন', 'ডিপোরটেশন' এবং 'ডিটেনশন ক্যাম্প'। বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় যেমন প্রচুর রয়েছে, তেমনি এমন অগুনতি অধ্যায় রয়েছে যেগুলো প্রতারণা, লাঞ্ছনা, প্রহার, নির্যাতন, নির্বাসন, অপমান, হতাশা, রক্তক্ষরণের দলিল। নিজ দেশে এভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পরবাসী হয়ে থাকার অপমান বিশ্বের আর কোনও জাতিকে সহ্য করতে হয়েছে কি না, এও এক বিষম প্রশ্ন। প্রশ্ন এটাও, বিশ্বের আর কোনও জাতিকে রাজনীতি ও রাষ্ট্রের হাতে এভাবে দশকের পর দশক ধরে ক্রীড়নক হয়ে থাকতে হয়েছে কি না। বাঙালিই একমাত্র জাতি যাকে তার নিজের রাষ্ট্র নিজেরই জন্মভূমিতে বারবার পরবাসী করে রেখেছে, যাকে বারবার কাঁটাতারের বেড়ার এপার থেকে ওপারে নির্বাসিত করা হয়েছে। অসমে রাষ্ট্র ও রাজনীতির এক হীন পরম্পরার শেষতম সংযোজন 'ডি'।
অসমের রাজনীতিতে বাঙালি উদ্বাস্তু সমস্যা এক প্রলম্বিত ও জটিল প্রশ্নচিহ্ন, এবং এই প্রশ্নচিহ্নকে কেন্দ্র করেই এ-রাজ্যের রাজনীতির যাবতীয় গতিপ্রকৃতি। অসমের জনবিন্যাস অত্যন্ত জটিল, ফলে স্বভাবতই এখানকার রাজনীতিও জটিল। অসমের জটিল জনবিন্যাসকে কেন্দ্র করে যে আরও অধিক জটিল রাজনীতি, তার পালে হাওয়া লাগায় এই ভীতিই।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি