ডাকাত হরিচরণ : স্বাধীনতার আগে ও পরে
সঞ্জয় কুমার দাস
স্বাধীনতার আগে ছোটনাগপুরের বিস্তীর্ণ খাদান এলাকার খনির মালিকানা দেশীয় মালিকদের হাত থেকে ব্রিটিশদের হাতে চলে গেল। ইংরেজ মালিকরা ন্যূনতম পরিশ্রমিকে শ্রমিকদের প্রচুর খাঁটিয়ে তাদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে সমস্ত মুনাফা কুক্ষিগত করে রাখত। ডাকাত হরিচরণ ওই অঞ্চলের.বিভিন্ন অত্যাচাররিত শ্রমিকদেরকে এক করে.ব্রিটিশ মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ল । পরবর্তী ক্ষেত্রে এরাই একটা ডাকাত দল গঠন করে ব্রিটিশদের থেকে অর্থ সামগ্রী লুট করে গরিবদের মধ্যে সেটা বিলিয়ে দিত।
স্বাধীনতার পরে খাদানের মালিকানা হস্তান্তরিত হয়ে হলো ব্যক্তিগত। যারা ইংরেজ মালিকদের মতো শ্রমিক বান্ধব না হয়ে অত্যাচারের পথে হাঁটলো। কোনো ক্ষেত্রে আরো বেশী।এদিকে ডাকাত হরিচরণও সদলবলে ঠিক একই প্রক্রিয়াতে চালাল ডাকাতি। চাইবাসা সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে মহাজন, জোতদারদের থেকে ডাকাতি করে সেই অর্থ সম্পদ বিলিয়ে দিতেন সমাজের গরীব শোষিত মানুষের মধ্যে। তাই ডাকাত হরিচরণ পুলিশের চোখে শত্রু হলেও ছিলেন গরিবের ভগবান। একদিকে মহাজন,জোতদারদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজস, অন্যদিকে এই সমস্ত জোরদারদের আশ্রিত বাহুবলিদের সঙ্গে হরি ডাকাতের দলবলের সংঘাত ছিল প্রতিনিয়ত। পরে তিনি পুলিশের জালে ধরা পরেন। পুলিশের খপ্পর থেকে ছাড়া পাবে কি হরিচরণ?কী হবে এরপর....জানতে হলে পড়ুন টানটান উত্তেজনায় ভরা উপন্যাস ....
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি