ডাবলিন নামা
জেমস জয়েস
অনুবাদক : : অরুণাভ ব্যানার্জী, দীপাঞ্জন মৈত্র, রূপসা ব্যানার্জী, শুচিস্মিতা ঘোষ, সর্বজয়া ভট্টাচার্য, সুজান মুখার্জি, স্যমন্তকশোভন বসু
প্রচ্ছদ : প্রিয়াঙ্কা কুমার
ডাবলিনার্স কার গল্প? জেমস জয়েস যে ডাবলিন দেখেছেন, যে শহরের হৃদস্পদন অনুভব করেছেন, যে ডাবলিন বার বার তাঁর লেখায় চরিত্র হিসেবে, যাপন হিসেবে, এক দ্বন্দ্ব-নিপীড়িত সময়ের প্রতিমূর্তি হয়ে ফিরে এসেছে, তার কথা? নাকি যে চরিত্ররা ডাবলিনের দৈনিক যাপনের অঙ্গ, তারাই এই আখ্যানের অবলম্বন?
এই প্রশ্নের উত্তর সহজ, আবার একইসঙ্গে জটিলও। গল্পের চরিত্রের সঙ্গে গল্পের আধারের আদানপ্রদানের ভিত্তি একটি বিশেষ সময়ে গাঁথা হলেও তার ব্যাপ্তি চিরকালীন। নাগরিক জীবনের দৈনিক বোঝাপড়া, শ্রেণী-সমাজ-ধর্মীয় সংঘর্ষের পটভূমিতে শৈশব, কৈশোর, প্রেম-পরিণয়, বার্ধক্য-মৃত্যু, প্রতি মুহুর্তে মনে করিয়ে দেয় জয়েস ডাবলিন শহরকে অনুভব করছেন সমকালীনতায়, কিন্তু ব্যক্ত করছেন সর্বকালীন চেতনায়। ডাবলিন ও আয়ারল্যান্ড সম্পর্কে লেখকের নির্মোহ স্বীকারোক্তি পাঠককে তাই দূরে ঠেলে দেয় না, আহ্বান জানায়, উদ্বুদ্ধ করে এক নতুন আঙ্গিকের গল্পে অংশ নিতে, যেখানে পাঠক নির্বিকারে ডাবলিনের অলিতে-গলিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
সুদূর ট্রিয়েস্ত, রোম, ইউরোপের নানা শহরে লেখা ডাবলিনার্স ভাষার সীমানা পেরিয়ে এবার বাংলায়। প্রকাশিত হল ডাবলিননামা।
-------------------
"আমার প্রধান উদ্দেশ্য আমার দেশের নৈতিক ইতিহাসের একটি অধ্যয় রচনা করা। তার পটভূমি হিসাবে বেছে নিয়েছি ডাবলিন, কারণ আমার ধারণা এই শহরই আমাদের পক্ষাঘাতের কেন্দ্র। উদাসীন পাঠকের জন্য আমি তুলে ধরেছি ডাবলিনবাসীর জীবনের চারটি পর্যা: শৈশব, কৈশোর, পূর্ণতাপ্রাপ্তি, ও জনজীবন। গল্পগুলি সাজানো হয়েছে সেই ক্রমে। নিজের চোখে দেখা, কানে শোনা ঘটনা উপস্থাপনাকালে সংশোধন, এমন কি বিকৃত করার দৃষ্টটা, নেহাত দুঃসাহসী শিল্পী না হলে, কারুর থাকে না। অতএব আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি অতিসতর্ক কৃপণতার সাথে সেই সব জীবন, সেই সব ঘটনাকে আমার লেখায় তুলে ধরতে।"--জেমস জয়েস গ্রান্ট রিচার্ডস-কে লেখা চিঠি ৫ মে ১৯০৬
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.