গান সমগ্র ২য় খন্ড
রূপম ইসলাম
কবিগায়ক রূপমকে নিয়ে কবি জয় গোস্বামী এ গ্রন্থে লিখেছেন: ‘রূপম ইসলাম সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার সঙ্গে, পুরনো ঐতিহ্যের মধ্যে নতুন স্রোত ঢুকিয়ে দেখতে চেয়েছেন কী শিল্প আবিষ্কৃত হয়! তাঁর আবিষ্কার সফল হয়েছে, এখন তা সর্বজনস্বীকৃত। …এসে গেছেন নতুন এক শিল্পী যিনি তাঁর কবিতার মধ্যে সুর সংযোজন করে এবং নিজে তাঁর গায়নরূপ প্রকাশ করে তাঁর শ্রোতাদের মুগ্ধ করছেন না শুধু, করছেন ক্রুদ্ধ, বিচলিত ও উন্মত্ত। যদি রূপম ইসলামের একক অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়া যায় তবে বোঝা যাবে তরুণ-তরুণীরা সত্যিই কীভাবে উন্মত্ত হয়ে দাঁড়িয়ে উঠছেন তাঁর গানের সঙ্গে। এ ছাড়া শুধু মুগ্ধ করা এই শিল্পীর উদ্দেশ্য নয়।’ কেননা যে রক-সংগীতের ধারা রূপম সৃষ্টি করে চলেছেন তা সম্পূর্ণ অজ্ঞাত অনাবিষ্কৃত এক দৃষ্টিকোণ আমাদের সামনে তুলে ধরে। যে আবিষ্কার-যাত্রাপথে রূপম মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শয়তানকেও টেনে বের করে আনেন। গানের কবিতায় শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি সজোরে তথাকথিত ‘অপশব্দে’র ব্যবহারেও দ্বিধা করেন না। যে বিদ্রোহ প্রচণ্ড গতিবেগে ঢুকে পড়েছে গানের কবিতায় তা লক্ষণীয়। কখনও এক প্রচণ্ড ধিক্কারযুক্ত ভালবাসায় রূপম ভেঙে দিতে চান সমস্ত সামাজিক ট্যাবুকে। যে গান আজকের মুহূর্তকে ধরবার গান। চিরকালের গানের দিকে ক্রমশ বয়ে চলেন কলকাতার এই অরফিউস। শিল্পীর একান্ত গভীর গোপন, নিজের কাছে সৎ, সৃষ্টিশীল সত্তাকে আগলে রাখতে পারেন একমাত্র এবং একমাত্র শিল্পী নিজেই। অত্যন্ত সচেতনভাবে, সন্তর্পণে। রূপমের সে চেষ্টা সার্থক একথা বলাই যায়। প্রকাশিত হল ‘কবিগায়ক’ রূপমের ‘গান সমগ্র ২’। অনবদ্য এই অর্ঘ্য নতুন প্রজন্মের কাছে এক আবিষ্কার।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি