বইয়ের নাম- গরানহাটির কীর্তনীয়া
লেখক- তাপস রায়
শিলং-এ কীর্তন মহাসম্মেলনে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন কীর্তন মহাসঙ্ঘের সচিব গিরিরাজ আচার্য। তিনি প্রথম দেখবেন মেয়ে অপরাজিতা কেমন কীর্তন গায়। দেশের নানা অংশ থেকে এসেছেন কীর্তনীয়ারা। এসেছেন রেনেটি ঘরানার বিখ্যাত গায়ক মোহনানন্দ ঘোষাল। কুমুরমিশ্রিত কীর্তন নিয়ে ঝাড়খন্ড থেকে এসেছেন ফটিকদাস বাবাজি। শ্রীখন্ডের প্রখ্যাত কীর্তনীয়া গিরিরাজই এই আসরের প্রধান আকর্ষণ। তিনি মনোহরসাহী ঢঙ্গে গান। নতুন গাইয়ে অপরাজিতাকে প্রথম আসর দেয়া হয়েছে। সে গাইবে নবদ্বীপ বাসী গৌড়গুণানন্দ ঠাকুরের বংশধর তার মা পুণ্যপ্রভা দেবীর ঠাট গরানহাটির গায়কী দিয়ে। গাইবে ‘রাই উন্মাদিনী' পালা। গানের শেষে শ্রোতারা অপরাজিতাকে মাথায় করে নিয়েছে। তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছ। এমনকি অপরাজিতার গান শোনার জন্য শিলং থেকে মণিপুরে গিয়েছে দল। সেখানেও অপরাজিতার খাতির দেখে গিরিরাজ প্রমাদ গুনলেন। তাহলে কি মেয়ে অপরাজিতা তাঁর কীর্তন দুনিয়ার রাজ্যপাট কেড়ে নেবে। তিনি পরাজয় সহ্য করতে পারেন না। শুরু হয় মেয়েকে কীর্তন দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার জন্য ষড়যন্ত্র বোনা। অপরাজিতা ভয় পায় না। সে মায়ের ঠাট, কীর্তনের ক্লাসিক রীতি গরানহাটি ঘরানাকে প্রতিষ্ঠা দিতে চায়। তাকে সাহায্য করে প্রবীণ মৃদঙ্গ বাদক ভানু বোস। সে জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা। শুরু হয় শিল্পে প্রতিষ্ঠা অর্জনের রোমহর্ষক লড়াই। বাবা ও মেয়ের ভেতর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.