লালবাড়ি.com

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন/সম্পাদনা করেছেন:
সুস্মিতা সাহা
প্রকাশক:
খসড়া প্রকাশনী

দাম:
₹250.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

লালবাড়ি.com

সুস্মিতা সাহা

প্রচ্ছদ ও অলংকরণ: শুভম ভট্টাচার্য (ভট্টবাবুর পেজ)

উত্তর কলকাতার এক গার্লস স্কুল, স্কুলের হোস্টেল আর সেই হোস্টেলের কিছু বাঁদর স্যরি  বিচ্ছুদের নিয়ে এই গল্প। তাদের বেড়ে ওঠার সাক্ষী হয়ে থাকা  গাইডদিদি, সুপারম্যাডাম, স্কুলবাড়ির টিচারদিদি সবাই সহজভাবে হেঁটে-চলে বেড়াচ্ছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়। খুনসুটি থেকে কড়াইশুঁটি, মেরে দেয়া থেকে ছেড়ে দেয়া আরও কত রকম গল্প।  কতটা স্মৃতিকথা, কতটা উপলব্ধি তা ঠিক করে বলা যায় না। তবে বিচ্ছুদের মেয়েবেলার সেই দিনগুলো রঙিন তো বটেই। সেই আশ্চর্য রঙিন দিনগুলোয় যাওয়া যাবে খুব সহজেই, এই বইয়ের পাতা ওল্টালেই।

-+++++++-

"জীবন মানে জি বাংলা না। জীবন মানে হল কতগুলো বিক্ষিপ্ত ঘটনার যোগফল। এই যেমন হোস্টেলেও কতগুলো বিক্ষিপ্ত থুড়ি ক্ষিপ্ত বিচ্ছু ছিল। ওদের কাছে জীবন মানেই হল সব নিয়মের মা মাসি এক করে হাসিমুখে কান ধরে গান গাওয়া। রোজ সকালে স্টাডিরুমে বসে পড়ার বই সামনে রেখে এক বিচ্ছু মুরগির মতো ঝিমোবে। গার্ড দিদি দেখে ফেললেই চিত্তির! নে এবার উঠে দাঁড়িয়ে পড়তে থাক। কিন্তু না। ক্ষিপ্ত বিচ্ছুকে তখন এঁড়ে তর্ক করতে হবে তো! না দিদি আমি ঘুমোইনি। আপনি ভুল দেখেছেন। আমি পড়ছিলাম। না আমি ঘুমোতেই পারিনা। গেল একরাউন্ড! 

এবার রাউন্ড টু। সকাল দশটায় ভাত খেয়ে স্কুলে যাওয়ার নিয়ম। গরমের দিনে ভাতের পাতে প্রথমেই থাকত শুক্তো আর শুক্তো মানেই তেতো। তেতো দেখে ভেতো বাঙালি তেতে উঠত রাগে। তার ওপর আলু, পেঁপে, উচ্ছের পাশে সেই শুক্তোর মধ্যে থাকত সজনে ডাটা। ব্যাস! ডাঁট দেখিয়ে ঝগড়া করত তখন। কিন্তু শেষে উপায়ান্তর না দেখে একটা ফন্দি আঁটল ওরা। খাওয়ার আগে ছোট্ট প্রার্থনা পর্ব সেরে দিদিদের চোখ এড়িয়ে যার যার থালা থেকে তরকারি তুলে নিত হাতের মুঠোয়। তারপর খাওয়ার আগে হাত ধুতে যাওয়ার নাম করে বেসিনের সামনের জানালা দিয়ে ওই তেতো শুক্তোর তরকারি ছুঁড়ে ফেলে দিত সামনের বাগানে। তারপর হাত ধুয়ে এসে খেতে বসত আর তখনি শুরু হতো দিদির জেরা-

- অমুক তুমি তরকারি খাওনি?

- হ্যাঁ দিদি খেয়েছি তো!

- খেয়েছ! বললেই হল! কখন খেলে?

- এইতো খেলাম ভাত দিয়ে। আপনি দেখেননি?

আরেক চোট তর্ক চলতে চলতে স্কুলের ঘন্টা পড়ে গেলে ব্যাপারটা পরেরদিনের জন্য তোলা থাকত।

এরপরের তর্ক রাউন্ড থ্রি হত বিকেলে টিফিনের সময়। টিফিনের ঘন্টা পড়ে গেছে তাও কিছু বিচ্ছু মাঠে খেলতে থাকলে সেটা বেজায় বিপদ। কারণ এদিকে সন্ধ্যে নেমে আসছে। টিফিনের পরেই স্টাডিরুমে বসে পড়াশোনা করতে হবে। আদতে পড়াশোনা না ছাই! লাস্ট ডেস্কে বসে থাকা বিচ্ছু দেয়ালের দিকে ঘুরে গিয়ে পেন্সিল দিয়ে লিখে রাখত, 'পড়াশোনা করে যে, গাড়িচাপা পড়ে সে।' এখানেই শেষ নয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও মশারি টাঙানো নিয়ে একদফা, পাশের বেডের বন্ধুর সঙ্গে না ঘুমিয়ে গল্প করছে কিনা তা নিয়ে আরেকদফা তক্ক সেরে তবে ওদের রাত পোহাত। পরদিন সকালে ঘুম ভাঙত নতুন করে নিয়মের মধ্যে থেকে নিয়ম ভাঙার এনার্জি নিয়ে। ক্ষিপ্ত বিচ্ছুদল এভাবেই ওদের ক্ষ্যাপামো দিয়ে মাতিয়ে রাখত হোস্টেলের দিনগুলো। ওদের জন্যই গরম তেলে ভাজা শুকনো লঙ্কার মতো মুচমুচে ছিল সেসব দিন।" 

----------খেলা ভাঙার খেলা: সুস্মিতা সাহা।

আপনার হোস্টেল জীবনও কি এমনই রঙিন ছিল? সারাদিনের ব্যস্ততায় বারবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেইসব দিনগুলোয়? সুস্মিতা সাহার এই বইয়ের প্রথম পাতা থেকেই পাবেন হোস্টেল জীবনের সেই আদুরে দিনগুলোর নস্টালজিয়া। এই বইয়ের দু-মলাটের মধ্যে লুকিয়ে আছে একটা আস্ত হোস্টেলবাড়ি, যা আপনাকে নিয়ে যাবে স্কুল জীবনের সেই দিনগুলোতে।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.