মহাযুদ্ধের নেপথ্য নায়িকা কুন্তী
- অসীম চট্টোপাধ্যায়
ষড়যন্ত্রের আবহে স্বামীহারা এক আপাত সরল নারীর নিজের সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করার অদম্য আকাঙ্ক্ষা কীভাবে ঘটনা পরম্পরায় গড়ে তোলে নতুন নতুন সত্যের নির্মাণ, কীভাবে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি করে মাতৃত্বকে আশ্রয় করে আপন প্রজাতিরক্ষার কুটিল চক্রান্ত, তারই টানটান বিবরণ মেলে মহাভারত আশ্রিত এই উপন্যাসে। পড়তে পড়তে পাঠকের মনে বার বার প্রশ্ন জাগবে, কর্ণ কি আদৌ কুন্তীর পুত্র, প্রথম পার্থ? নাকি রাজনীতির দাবাখেলায় এক হতভাগ্য ঘুঁটি, যাকে মাতৃত্বের ফাঁদে ফেলে নিজের সন্তানদের রক্ষা করার কৌশলী পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রাক্তন এই রাজমহিষী?
অধুনা সময়ের অন্যতম বিশিষ্ট অক্ষরশিল্পী ও অনুবাদক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম যৌবন কেটেছে ৭০ দশকের আগ্নেয় দিনগুলোতে, সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায়। পরবর্তী জীবনে তিনি বৃত্তি হিসেবে গ্রহণ করেন সম্পাদনা ও অনুবাদকর্মকে, এবং সেই সঙ্গে চলতে থাকে তাঁর সৃজনশীল সাহিত্য প্রয়াস। নিজের বিপ্লবী জীবনের অভিজ্ঞতা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর 'পুব আকাশ লাল' উপন্যাসে। হেনরি লুইস মর্গানের মহাগ্রন্থ 'এনশিয়েন্ট সোসাইটি'-র প্রথম বাংলা তরজমাকার তিনিই। বর্তমানে তিনি সেতু প্রকাশনীর প্রধান সম্পাদক। 'দুর্যোধন'-এর পর 'কুন্তী' তাঁর মহাভারত আশ্রিত দ্বিতীয় উপন্যাস।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি