নতুন যুগের স্বপ্নপথিক দ্রৌপদী
অসীম চট্টোপাধ্যায়
কিশোর বয়সের বন্ধুত্ব যখন মধ্য-বয়সে এসে পরিণত হয় অনমনীয় শত্রুতায়, তখন সেই শত্রুরূপ ভরদ্বাজপুত্র দ্রোণ এবং তাঁর সহযোগী শক্তিসমূহকে ধ্বংস করার স্থির লক্ষ্যে পাঞ্চালরাজ দ্রুপদ আনয়ন করেন দুই অগ্নিতুল্য নারী-পুরুষ কৃষ্ণা এবং ধৃষ্টদ্যুম্নর। আপন সন্তান পরিচয়ে তাঁদের পালন করতে থাকেন তিনি। দ্রুপদ-কন্যা রূপে সেই কৃষ্ণাঙ্গী নারী পরিচিত হন দ্রৌপদী নামে। পঞ্চপাণ্ডবের সঙ্গে বিবাহ হয় তাঁর। ওদিকে ভরতবংশীয়দের মধ্যে শুরু হয় ক্ষমতা দখলের লড়াই। কুরু এবং পাণ্ডব, দুই পক্ষে গড়ে উঠতে থাকে শক্তিজোট। পাণ্ডবভার্যা দ্রৌপদী কিন্তু ক্ষমতা দখলের ক্ষুদ্র শরিকি দ্বন্দ্বে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে পারেন না। তিনি খুঁজতে থাকেন এক নতুন পন্থা, যা জন্ম দেবে নতুন মানুষের, যে মানুষ নিয়ে আসবে এক নতুন যুগের ভোর। কিন্তু কীভাবে? এই সন্ধিক্ষণে তাঁর দেখা হয় যদুকুলপতি কৃষ্ণের সঙ্গে। তারপর?
অধুনা সময়ের অন্যতম বিশিষ্ট অক্ষরশিল্পী ও অনুবাদক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম যৌবন কেটেছে ৭০ দশকের আগ্নেয় দিনগুলোতে, সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায়। পরবর্তী জীবনে তিনি বৃত্তি হিসেবে গ্রহণ করেন সম্পাদনা ও অনুবাদকর্মকে, এবং সেই সঙ্গে চলতে থাকে তাঁর সৃজনশীল সাহিত্য প্রয়াস। নিজের বিপ্লবী জীবনের অভিজ্ঞতা তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর 'পুব আকাশ লাল' উপন্যাসে। হেনরি লুইস মর্গানের মহাগ্রন্থ 'এনশিয়েন্ট সোসাইটি'-র প্রথম বাংলা তরজমাকার তিনিই। বর্তমানে তিনি সেতু প্রকাশনীর প্রধান সম্পাদক। 'দুর্যোধন' এবং 'কুন্তী'-র পর 'দ্রৌপদী' তাঁর মহাভারত আশ্রিত তৃতীয় উপন্যাস।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.