মেজদাদার কীর্তিকলাপ
দীপঙ্কর বিশ্বাস
'মেজদাদার কীর্তিকলাপ'-এর অধিকাংশ গল্পই হাসির। বাকি গল্পগুলি বাছাই করা কল্পবিজ্ঞানের। মেজদাদার আত্মপ্রকাশ ১৯৯৫-এর শারদীয়া শুকতারায়- 'মেজদাদার কীর্তি' হাসির উপন্যাসে। মেজদাদার মাথায় কোনো পড়াশোনাই ঢুকত না। মেজদা হুমায়ুনকে হনুমান, Hypotense -কে Hippopotamus বলেছিল, আর বলেছিল, নিউটনই প্রথম গ্র্যাভিটি দিয়ে সহজে আপেল পাড়েন। হেডস্যারকে নিজের ইংরিজিতে চিঠি লিখেছিল মেজদা, বড়দির বিয়ের জন্য ছুটি চেয়ে। হেডস্যার সেই চিঠির মানে তৈরি করলেন, মেজদার বাড়ির লোক হেডস্যারের সঙ্গে বড়দির বিয়ের সম্বন্ধ করতে আসবে। সত্যিটা জেনে, হেডস্যার খেপে গিয়ে, ব্লাড প্রেশারের কোপে বিছানা নিলেন। সেই মেজদা পুরো পালটে গেল বাবা রেগেমেগে মাথায় নারকেল ফাটানোর পর। মাথার কলকবজা সব ঠিকঠাক চলতে লাগল। মেজদা সোজা মাধ্যমিকে সেকেন্ডে হল। তখন থেকেই মেজদা আমাদের রাজা। বিক্রমাদিত্য বা আকবরের চেয়ে ঢের ঢের বড় রাজা। মেজদার স্কলারশিপ আমরাই তো ভোগ করি। আমাদের নিয়ে মেজদার নিত্যনতুন কাণ্ডকারখানায় জড়িয়ে তৈরি হয় নতুন আখ্যান। মেজদাদার আটটি উপন্যাস ও চল্লিশটির বেশি গল্প প্রকাশিত হয়েছে শুকতারা, সন্দেশ, আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী ও কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞানে। বেশির ভাগই হাসির। মেজদার গল্প নিয়ে বেশ কিছু নাটকও হয়েছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি