মৈমনসিংহের গীতিকারত্নে-গাঁথা গল্প
দীপ্ত দাশগুপ্ত
"প্রতিদিনের জীবনযাপনের ছবি ফুটে উঠেছে এই গাথাকাব্যে। প্রকৃতির সঙ্গে চলনে ও রঙ্গরসিকতায় সিক্ত পল্লিকবিরা যে কাব্য তৈরি করেছেন তার ভেতরে কৃত্রিমতার কোনো ছায়াই নেই। পল্লিবাসীদের কথা তাদেরই ভাষায়, তাদের গলায়, তাদের আবেগ উচ্ছ্বাস নিয়ে ভেসে বেড়ায়। পল্লিকবিরা যেভাবে জীবনের কথাকে ভাষায় রূপ দিতেন তা জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা, রসবোধ ও কল্পনাশক্তি ছাড়া অসম্ভব। সেই কবিরা গাথাগুলিকে এমনই পরিপুষ্ট করে তুলতেন যে মুক্ত আকাশের নীচে কোনো রাখাল, মাঝি বা এমন স্তরের যে-কোনো মানুষ আপনমনে গাইলে মনে হত তারা নিজেরাই যেন পালার এক-একটি চরিত্র।"
বাংলা সাহিত্যের রত্নভাণ্ডার 'মৈমনসিংহ গীতিকা'র সকল কাব্যময়তা, নাটকীয়তা ও চরিত্র সমেত প্রথম সৃজনশীল একুশ শতকের বাংলাগদ্যে রূপান্তর দীপ্ত দাশগুপ্তের 'মৈমনসিংহের গীতিকারত্নে গাঁথা গল্প'। শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেনের তৎপরতায় ও চন্দ্রকুমার দে-র অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রাথমিকভাবে এবং বেশ কয়েকজন গবেষকের চেষ্টায় বাংলার পল্লিজীবনের যে ছবি পাওয়া যায় 'মৈমনসিংহ গীতিকা'য়, তা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই রূপায়ণ। বিশ্বসাহিত্যের দরবারে গাথাকাব্যের মহিমাকে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবির্ভূত হল এই গ্রন্থটি।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.