অগ্নিপুরাণ
মুহম্মদ নিজাম
হন্তারক। দস্যু। লুঠেরা।
দিল্লির রাস্তায় ফ্য, ফ্যা করে ঘুড়ে বেড়ানো এক মানুষ। ছোটখাটো চেহারা নিয়ে সৈনিক হওয়ার স্বপ্ন দ্যাখে। কিন্তু সেই স্বপ্নে বারবার জল ঢেলে দেয় তার খর্বাকৃতি চেহার।
সাহস, কেবল অদ্যম সাহসের জন্য নজরে পড়ে যান সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের। তারপর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
দিল্লি থেকেই রওনা দেন বাংলার উদ্দেশে। তিনি শুনেছিলেন বাংলা আসলে সোনা দিয়ে মোড়া..
সোনার বাংলাকে জ্বালিয়ে,পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিয়েছিলো বখতিয়ার। তার মত নির্মম, যুদ্ধবাজ ইতিহাসের পাতায় কমই মেলে।
এক সামান্য ভবঘুরে থেকে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন কী ভাবে? কেনই বা এত নির্মমতা- সেই কাহিনী বলে 'অগ্নিপুরাণ'।
ছল করে আক্রমণ বাংলা আক্রমন করল বখতিয়ার। বৃদ্ধ লক্ষ্মণ সেনের ক্ষমতা ছিল এই আক্রমন রোখার। কার্যত পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর কেবল হত্যালীলা। আর লুঠতরাজ।
যদিও বখতিয়ারের শেষ পরিণতি ছিল বড় করুণ।
হয়ত মহাকাল তাকে শাস্তি দিয়েছিল, যা তার পাওনা ছিল।
এক যুদ্ধদিনের উপাখ্যান 'অগ্নিপুরাণ'।
এক ইতিহাসের উপাখ্যান 'অগ্নিপুরাণ'।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি