জন্মেজয়ের নাতি সুনীথা তখন হস্তিনাপুর শাসন করছেন। বক রাক্ষসের বংশধর ছিলেন এই আকালাম্মান। বকের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবেন বলে সুনীথাকে যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে বলে তিনি একটি চিঠি পাঠান। এই শতানন আকালাম্মানের উপর ব্রহ্মার বর ছিল— তাঁর মূল মাথাটি কেটে যিনি মাটিতে ফেলবেন তিনি ধ্বংস হয়ে যাবেন (ঠিক যেন জয়দ্রথের কাহিনি)।
সুনীথা প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেলেন। প্রাজ্ঞ মানুষরা তাঁকে পরামর্শ দিলেন— একমাত্র দ্রৌপদীই পারেন সেই শতাননকে বধ করতে। তিনি পরাশক্তি। কিন্তু তখন তিনি আর এই ধরাধামে নেই! তাঁকে পুনর্জন্ম নিতে হবে। এখানে আরও একটা বিষয় রয়েছে। যে দুই ঋষির দ্বারা যজ্ঞাগ্নি থেকে দ্রৌপদীর পিতা তাঁকে লাভ করেছিলেন, সেই যাজ-উপযাজ অর্থাৎ উপায়ন (Upayan) এবং যশন (Yacan)-কেই সেই যজ্ঞ করতে হবে। সারা ভারত ঢুঁড়ে জিঞ্জিতে নদীর তীরে সুনীথা সেই দুই তাপসকে পেলেন। তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই নদীর তীরে যজ্ঞানল থেকে কলিযুগে দ্বিতীয়বার জন্ম নিলেন পরাশক্তি।
এরপর সুনীথা কলিঙ্গদেশে পোত্তুরাজার কাছে গেলেন। তিনি চরম শিবভক্ত। শিবলিঙ্গকে মাথায় করে বহন করেন তিনি। দ্রৌপদী বললেন এই কাজের এর জন্য পোত্তুরাজাই সঠিক লোক।
এরপর শতাননের সঙ্গে ঘোরতর যুদ্ধ হল দ্রৌপদীর। একে একে তাঁর নিরানব্বইটা মাথা কেটে ফেললেন তিনি। মূল মাথাটা কেটে ফেলার পর সেটা মাটিতে পড়লেই ব্রহ্মার বর অনুযায়ী ধ্বংস হয়ে যাবেন দ্রৌপদী; ঠিক এই সময় মূল মাথাটি কেটে মাটিতে পড়বার আগেই ধরে ফেললেন পোত্তুরাজা। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন সারাজীবন তিনি সেই মাথাটি বহন করবেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি