রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ
পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায়
একটি গানে তিনি লিখেছিলেন: মধুর, তোমার শেষ যে না পাই, প্রহর হল শেষ- গানের বাণীর এই 'মধুর' কি তিনি নিজেই? কেননা তিনিও তো আমাদের জীবনে এক অনিঃশেষ মহাপ্রাণ। আমাদের জীবনচর্যায় তাঁর নিয়ত উপস্থিতি। একই সঙ্গে তাঁর চর্চা বাঙালির কাছে প্রণম্য কৃত্য। এই চর্চায় পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায় বহুদিন শুধু নিয়োজিত নন, এক সনিষ্ঠ এবং সুপরিচিত নাম। কয়েক দশক ধরে তাঁর রবীন্দ্রচর্চার ফসল: নানা রবীন্দ্রনাথের মালা, রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ, শুধুই রবীন্দ্রনাথ নয়, কবিপত্নী মৃণালিনী, রবীন্দ্রনাথের তিনকন্যা, কবিপুত্র শমী, কবি ও শিল্পী-রবীন্দ্রনাথ ও গগনেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্র পরিকর, হে মহামরণ, মাধুরীলতার চিঠি, মাধুরীলতার গল্প, শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা প্রভৃতি গ্রন্থ। এই বইগুলিতে যে-বিপুল সংখ্যক রবীন্দ্রবিষয়ক রচনা আছে, তা ইতিমধ্যেই রবীন্দ্রচর্চার সবক'টি গ্রন্থ ক্ষেত্রে অপরিহার্য বলে গৃহীত হয়েছে। এই সবক'টি গ্রন্থ একত্রিত করে প্রকাশিত হল 'রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ'।
লেখক পরিচিতি :
পূর্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায়-এর জন্ম বৈশাখ, ১৩৪৩ (মে, ১৯৩৬)। শিক্ষা: বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্বভারতী। ১৯৫৯ সালে বিশ্বভারতী থেকে বাংলা সাহিত্যে এম এ। প্রথমে গবেষক-ছাত্র পরে ১৯৬২ থেকে ২০০১ সেখানেই পাঠভবনে সুদীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে শিক্ষকতা। ছাত্রাবস্থায় শান্তিনিকেতনের 'সাহিত্যিকা'র সম্পাদক। বিশ্বভারতী ছাত্র সম্মিলনীর বার্ষিকী 'সপ্তপর্ণী' সম্পাদনা। ১৯৫৬-৫৭ থেকে 'আনন্দবাজার পত্রিকা'র শান্তিনিকেতনের এবং পরবর্তীকালে বীরভূমের সংবাদ-প্রতিবেদক। ওই পত্রিকায় প্রায় দু'দশক ধরে প্রকাশিত 'শান্তিনিকেতন থেকে' কলামের নিয়মিত লেখক। রবীন্দ্রচর্চার সূত্রপাত ছাত্রজীবনেই। 'দেশ' এবং 'আনন্দবাজার পত্রিকা'র তৎকালীন 'সাহিত্যজগৎ' ও 'রবিবাসরীয় আলোচনী'-আলোচনী পৃষ্ঠায় রবীন্দ্র প্রসঙ্গে বিবিধ রচনা প্রকাশ। রবীন্দ্রনাথ, বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন বিষয়ে বহু বই। ১৯৭২ থেকে 'দেশ' পত্রিকার একাধিক সাহিত্য ও শারদীয় সংখ্যায় সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন সহস্রাধিক রবীন্দ্র-লিখিত পত্রাবলী।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি