রতন ও সিরাজের কণ্ঠহার
সুলগ্ন দাস
১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে নবাব সিরাজ উদ দৌল্লার কাছ থেকে একটি মহা মুল্যবান নবরত্ন হার উপহার পান নবাবের তৎকালীন অশ্বপাল মাধবলাল সেন। সেই হার বংশানুক্রমিক উপায়ে হাতে আসে মাধবলালের বংশধর মোহনলালের হাতে। সামাজিক অস্থিরতার কারণে মোহনলাল সেই হার লুকিয়ে রেখে তার প্রাণের বন্ধু ভবানীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে সে সম্বন্ধে একটি চিঠি ও সেই হার কোথায় আছে তা একটি হেঁয়ালির মাধ্যমে লিখে দিয়ে যান। তিনি ভবানীপ্রসাদের থেকে এই প্রতিশ্রুতি নেন যে কেবলমাত্র তাঁর বংশধরের হাতেই যেন সেই হার পৌঁছয়। এই প্রতিশ্রুতির বাধনে আবদ্ধ হয়ে মৃত্যুর পরেও মোহনলালের বংশধরের খোঁজ না পেয়ে পৃথিবীতেই আটকে পরে থাকেন ভবানীপ্রসাদ।
এদিকে গল্পের নায়ক রতনলালকে তার প্রেমিকার ভাইয়েরা মেরে একটি জনমানবহীন মাঠের মাঝে ফেলে দেয়। সেই মাঠে একটি বেল গাছের আড়াল থেকে সেই ঘটনা দেখে রতনকে বাঁচিয়ে তোলেন ভবানীপ্রসাদের প্রেতাত্মা। এরপর রতন কি ভাবে ভবানীপ্রসাদের সাহায্যে সেই হার উদ্ধার করে এবং তার প্রেমিকাকে বিবাহ করে সেই নিয়েই এই গল্প।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.