বোহেমিয়ানের সাধুসঙ্গ (প্রথম খণ্ড)
রাজাধিরাজ ভট্টাচার্য্য
প্রতিদিনের সূর্যাস্ত মানে আগামী দিনের সূর্যোদয়ের সম্ভাবনা। প্রতিটা মৃত্যু মানেই আগামী দিনের নতুন প্রাণের সঞ্চার। মৃত্যুর পরের অশরীরী যতক্ষণ না শরীর পায় ততক্ষণ সে মুক্ত- একান্তই যদি কর্মদোষ থাকে তবে, সেই জীবাত্মাই হলেন প্রেতযোনি।
উলঙ্গ আকাশ থেকে ঝরে পড়া কুয়াশার স্বপ্ন গয়ে মেখে এক বোহেমিয়ান এগিয়ে চলেছে বাইক নিয়ে। এদেশের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে জানাই তার উদ্দেশ্য। অচেনা পাহাড়-গ্রাম-শহর-নদী-নালা-শহর পেরিয়ে সে এগিয়ে চলেছে অজানার খোঁজে।
যৌবনের গরম রক্ত আর উড়নচণ্ডী জীবন যাপনের নেশা ভাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় সেই যুবক কে। নিজের পড়াশুনা এবং সৃষ্টির রহস্যকে জানতে সে জানবৃদ্ধ সন্ন্যাসীদের একের পর এক প্রশ্ন করে চলে। ক্রমশ বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া তন্ত্র-সূত্রের হদিস পায়, যার বিস্তৃতি। দেশ-কাল-সময় ছাপিয়ে এই মহাবিশ্বে ব্যাপ্তি লাভ করেছিল কোনও। একসময়।
আপনার আমার মত সাধারন মানুষের মধ্যে জমে থাকা প্রশ্নর অজানা উত্তরগুলো যখন বৃদ্ধ, জ্ঞানী সন্নাসীদের মুখনিঃসৃত হয় তখন, সেগুলো ছাপার অক্ষরে আসে এই বইয়ের মাধ্যমে। আশ্চর্যের বিষয় একটাই, সেই যুবক বাইক আরোহীকে অনেকটাই আমার মতো দেখতে।
লেখক পরিচিতি :
জন্ম সত্তর দশকের শেষে। জন্মস্থান। কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে হাসপাতালের কেবিন। নাম থেকে মর্জি, সবেতেই 'রাজা'। বেড়ে ওঠা হাওড়া সালকিয়ার কর্মব্যস্ত অলিতে গলিতে। পড়াশুনা থেকে ডেপোমি, উদ্দেশ্যবিহীন ভ্রমণ থেকে বেহিসেবি জীবন যাপনের পাঠ, সবই শেখা সালকিয়া হিন্দু স্কুল, সিটি কলেজ, হাওড়া ব্রিজের ফুটপাথ ও বাবুঘাটের জেটিতে । প্রকান্ড একান্নবর্তী পরিবার। সালকিয়র চন্ডীবড়ি। বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত চারশো বছরের প্রাচীন বিগ্রহ, হয় দুর্গাপুজো। পৈত্রিক সূত্রে 'হার্ডওয়ার' লৌহ ব্যবসায়ী। তবে মেজাজ সূত্রে নিজের শখের ব্যপারি। কখনো গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনে উর্দু শেখা, কখনো বাড়িতে না বলে শতাব্দী-প্রাচীন বুলেটে চড়ে হিমালয় পালিয়ে যাওয়া। দীর্ঘকাল ধরে আধ্যাত্ত্বিক চর্চা ও দর্শনে যুক্ত। হই হই করে গান বাজনা, প্রকান্ড ক্যানভাসে। ছবি আঁকা, হা হা করে হাসা। পছন্দের বিচরণ ক্ষেত্র দুর্গম হিমালয়ের আনাচে-কানাচে।
এইতো জীবন, কালীস। জীবনে পুড়িরেছেন অসংখ্য মড়া। করেছেন প্রচুর সাধুসঙ্গ। অসাধুসঙ্গ। মোগলাই রান্নার একনিষ্ঠ শিল্পী রাজা নবাবি প্রেমে আবিষ্ট হয়ে বিবাহও করেছেন লখনৌর কনা অনুশ্রীকে। বর্তমানে কিশোর পুত্র 'ধীরাজ' এর পিতা রাজা'র লেখক হিসেবে পুনর্জন্ম 'রাজাধিরাজ নামে। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ অহম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই পাঠকপ্রিয় রাজাধিরাজের লেখার ধাঁচ একেবারে স্বতন্ত্র, প্রাচীন বেনারসের গলির মতোই দর্শন ও বৈচিত্রে ভরপুর।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.