রত্নগর্ভা বাঁকুড়া

(0 reviews)
Written/Edited by
BISHWAJIT SARKAR

Price
₹350.00
Club Point: 60
Quantity
Total Price
₹1,070.00
Share

রত্নগর্ভা বাঁকুড়া 

বিশ্বজিৎ সরকার 

স্বামী ভূতেশানন্দজীর পরিচিতি শুধু ভারতে নয়, সমগ্র বিশ্বেও। কেন-না এই মানুষটি ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বাদশ অধ্যক্ষ। আর এই মানুষটি বাঁকুড়ারই সন্তান। মঠ মিশনের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী সাধু-মহারাজদের পূর্ব পরিচিতি প্রায়শই সুপ্ত থাকায় এই তথ্যটি প্রচ্ছন্ন থেকেছে এবং বাঁকুড়ার ইতিহাসে তিনি অন্তরালে থেকে গেছেন।

      তিনি ছিলেন দর্শনের ছাত্র। দর্শনের ক্লাস হত প্রেসিডেন্সি কলেজে। মিশনের মহারাজরা চেয়েছিলেন তিনি এম.এ. কমপ্লিট করে যোগ দিন মঠে। কিন্তু ছাত্র বিজয়ের তর সয়নি, তা বলে নিজের অধীত বিদ্যাকে মরচে পড়তে দেননি। মঠে থেকেই বেদান্ত শাস্ত্র পড়াশোনায় গভীর চর্চ্চার পাঠ নেন মঠের বিখ্যাত শিক্ষক তারাসর ভট্টাচার্যের নিকট। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই শিক্ষাকে আরো শানিত করার জন্য মঠের মহীশূর স্ট্যাডি সার্কেলে আসা। কিন্তু এই বেদান্ত চর্চাকে কেবল পুঁথিগত পাণ্ডিত্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি, আত্মানুভূতি এবং বৃহৎ মানব জীবনের সঙ্গে তার নিবিড় যোগসূত্র ধরতে চেয়েছেন। তাই তিনি হয়ে উঠেছেন শাস্ত্রজ্ঞ বেদান্ত পণ্ডিত। 

------------------

      সংগীত প্রিয় মানুষের কাছে বেচু দত্ত এক পরিচিত নাম। তিনি বাঁকুড়ার সোনামুখীর সন্তান। জন্ম বয়স থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করলেও বাঁকুড়ার সোনামুখীর প্রতি ছিল তাঁর নিবিড় টান।

      বেচু দত্তের মা গিরিবালার গানের গলা ছিল সুন্দর। মায়ের মুখের গান শুনে সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হন বালক বেচু। এই আকর্ষণই তাঁকে পরবর্তী জীবনে প্রতিষ্ঠিত সংগীতশিল্পীর পথে উজিয়ে নিয়ে গেছে। যে পথ ছিল গভীর অনুশীলন চর্চার পথ।    

      সোনামুখীতে এসে পড়াশোনা নয়, গানই তাঁর কাছে মুখ্য চর্চা হয়ে ওঠে। এমনিতেই সোনামুখীতে তখন সংগীত চর্চার ব্যাপক প্রসার, বিষ্ণুপুর ঘরানার ঐতিহ্য যথেষ্ট প্রবাহমান, যাত্রা-গান-বাজনা নিয়ে সমৃদ্ধ তখনকার সোনামুখী।

       হিমাংশু দত্তের সুরে তাঁর গান রেকর্ড হয়ে গেল, 'আসিও প্রিয় ছায়া ঘন বাদলে' পরে শৈলেন দত্তের সুরে 'আমারে রেখেছো সোনার স্বপনে ঢাকি'। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি বেচু দত্তকে। অসম্ভব জনপ্রিয়তা দিল এই গানটি। বেচু দত্ত প্রতিষ্ঠা পেলেন গানের জগতে। যদিও সেই সময় সুরের আকাশে একঝাঁক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শচীন দেব বর্মন থেকে শুরু করে জগন্ময় মিত্র জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ মিত্রের মতো শিল্পীরা। কিন্তু শিল্পী নিজের জায়গা তৈরি করলেন নিজ গুণে। কিছুদিনের মধ্যে সিনেমার প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ডাক পেলেন। তাঁর প্রথম ছবির নাম 'রাজকুমারের নির্বাসন' এছাড়াও তাঁকে দেখা গেল 'আলেয়া' 'নিশির ডাক', 'জীবনসঙ্গিনী', 'শুকতারা', 'মাটির ঘর', 'স্বামী-স্ত্রী' প্রভৃতি সিনেমায়। 'স্বামী স্ত্রী' সিনেমায় শৈল দেবীর সাথে দ্বৈত কণ্ঠে, 'বনের কুহুকেকা সনে মনের বেণুবীণা গায়'- অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায় গানটি।

      সময়টা তখন স্বাধীনতা আন্দোলনের চরম পর্যায়। ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলে এসেছে সামনে। শিল্পীসত্তার অন্তরে নিমজ্জিত স্বদেশি ভাবনা রূপ পেল তাঁর সৃষ্টি কর্মে। তৈরি করলেন স্বদেশি গানের রেকর্ড 'ভাগোয়া জেন্দা জয় হিন্দ' সহ বেশ কিছু স্বদেশি গান। এই গানের রেশ ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারতে। এই রেকর্ডের জন্য তিনি অ্যারেস্ট হন তবে বেশিদিন জেলে থাকতে হয়নি তাঁকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেরোয় 'আয়া আয়া ১৫ ই আগস্ট'। এর অব্যবহিত পরে গ্রামাফোন কোম্পানি থেকে বের হয় 'বন্দেমাতরম' রেকর্ড। ১৯৫২ সালে বের হয় গণসংগীত। অসম্ভব জনপ্রিয় হয়, 'ওরে ও মাঝি, নৌকার পাল তুলে দে' গানটি।

Reviews & Ratings

0 out of 5.0
(0 reviews)
There have been no reviews for this product yet.

Related products

Product Queries (0)

Login Or Registerto submit your questions to seller

Other Questions

No none asked to seller yet