অনন্যা নিবেদিতা
ড. মীনা মুখার্জী
ভগিনী ভারতবর্ষকে তাঁর স্বদেশ এবং ভারতবাসীকে স্বজন হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। ডঃ শঙ্করী প্রসাদ বসুর 'লোকমাতা নিবেদিতা' ও পরম শ্রদ্ধেয়া মুক্তিপ্রাণা মাতাজীর 'ভগিনী নিবেদিতা' বইগুলি পড়ে আকৃষ্ট হয়েছেন লেখিকা অনন্যা নিবেদিতার প্রতি। তাঁর চরিত্রটি বিশ্লেষণ করলে অবাক হয়ে যেতে হয়। এমন চরিত্রও সম্ভব? গুরুর আহ্বানে স্বদেশের মায়া মোহ ত্যাগ করে এই মহীয়সী নারী আমাদের দেশে এসেছিলেন। তাঁর প্রধান এবং আকর্ষণীয় কাজ-এ দেশের মেয়েদের জাতীয় ধারায় শিক্ষাদান। মনে রাখা দরকার যে, ভারতের গর্ব ও লজ্জাকে নিবেদিতা তাঁর ব্যক্তিগত গর্ব এবং লজ্জা বলে মনে করতেন। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে বলেছিলেন, প্রতিটি ভারত সন্তানের জননী, সেবিকা ও বন্ধু হয়ে উঠতে। গুরুর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন তিনি। একমাত্র বিদেশিনী নারী যিনি ভারতের ধর্ম সংস্কৃতি দুঃখ ও স্বপ্নকে আপন করে গ্রহণ করেছেন। বস্তুত ভারতের জন্য এমন বলিষ্ঠ আত্মনিবেদন লেখিকাকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে। নিজেকে মনে প্রাণে ভারতীয় ভেবে তাঁর ভারতবর্ষের প্রতি যে কর্তব্য পালন ও আত্মসমর্পণ নিঃসন্দেহে তা প্রশংসনীয়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.