সাক্ষাতকার সংগ্রহ
গৌতম চৌধুরী
সম্পাদনা: সায়ন রায়
বিনীতভাবে জানাই, আমি একজন নাস্তিক বটে। বিশ্বচরাচরের কেন্দ্রে একজন কর্তার কল্পনা মানুষ হিসাবে আমাকে মানেহীন করিয়া ফেলে। বরং, 'কর্তা নাই কর্ম আছে এ বড় বিস্ময়'। এইভাবে ভাবিতে পারিলেই আমার অস্তিত্বের স্বস্তি। কিন্তু তাই বলিয়া আস্তিকের বিরুদ্ধে আমার কোনও জেহাদ নাই। আস্তিকতায় বিশ্বাসের অধিকারকে আমি মান্যতা দিই। যুগ যুগ ধরিয়া আস্তিকের মর্মবেদনাপ্রসূত সংগীত কাব্য ও শিল্পকর্ম মানবসভ্যতার বিরাট অর্জন। কিন্তু মর্মবেদনা যে নাস্তিকের নাই, তাহা নয়। এই বিশ্বচরাচরের বিশালতার মাঝখানে আমরা অতি তুচ্ছ অস্তিত্বমাত্র। বিরাট প্রকৃতির অংশ হইয়াও গভীর আত্মবিস্মৃতি আর তাহা হইতে তৈয়ার হওয়া আত্মকেন্দ্রিকতায় আমরা আমাদের জনিকাসূত্রকে ভুলিয়া থাকি। এই আত্মপ্রেম হইল সভ্যতার পুরুষভাব। যাহা সকল ক্ষমতাতান্ত্রিক প্রতিস্পর্ধার মূলে আছে। একজন মরমী নাস্তিক প্রকৃতির সাথে এই বিচ্ছিন্নতার জন্য এক ধরনের বিরহের বোধ ধমনী স্পন্দনে অনভুব করিয়া চলেন। প্রকৃতির সাথে একাকার হইবার আর্তিই নাস্তিকের আধ্যাত্মিকতা। সেই আর্তিপ্রসূত বিরহবোধই আমার সামান্য লেখালেখির চালিকাশক্তি। তাহাকে স্বচ্ছন্দে নাস্তিকের বিরহবোধ বলিতে পারেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি