তান্ত্রিকের রান্না
সোমব্রত সরকার
প্রচ্ছদ- শুভেন্দু সরকার
‘কুচে দেখতে খুব সুন্দর। স্লিম ফিগার। এদের লেজ খাড়াখাড়ি ভাবে কুচে চাপা। শেষের দিক ক্রমশ সরু হয়ে নেমে যাওয়া। কুচে মাছের বুক, পাছা, পায়ু, লেজ কিছু থাকে না। পিঠের ধারে থাকে পাখনা। শরীরে ক্ষুদ্র আঁশ হয়। গোলাকার অস্পষ্ট আঁশ। ষাট থেকে সত্তর সেন্টিমিটার মতো লম্বা একেকটা কুচে মাছ।
ভৈরবী বললেন, 'কুইচা। কুইচার ঝাল-চচ্চড়ি খেতে খুব স্বাদ হয়। কুইচার তেঁতুল-টক পছন্দ করতেন গুরুদেব। কাশীতে এসব মাছ সচরাচর মেলে না যে। খেতে গেলে গুরুদেবের কথা মনে পড়ে। কাশীর গঙ্গা মাহাত্ম্যর পাশাপাশি আরেক মাহাত্ম্যগাঁথা রয়েছে, বুঝলি। বল তো কী?
আমি বললাম, 'কুণ্ড মাহাত্ম্য কি, মা?'
কুইচার আঁশ ছাড়াতে ছাড়াতে তারিণী ভৈরবী বললেন, 'একেবারে ঠিক বলেছিস, তুই। কাশীর কূপ, জলাশয়ে আয়ুর্বেদের গুণ বর্তমান। একসময় ভেষজ লতা কুণ্ডের তলদেশে গজাত। সেই লতা-ধোয়া জলে মানুষের শরীর ভাল হত। কাশীর কুণ্ড খনিজসমৃদ্ধ বলে এর জলে চর্মরোগ সারে।’
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.