একজন শিল্পী কি আজীবন তাঁর কল্পনার জগতে আছন্ন হয়ে থাকেন? তাঁর হৃদয় কি তবে রং-তুলি আর ছেনি-হাতুড়ির আগলে বন্দি? তাহলে তো বলতে হবে চারপাশের জগত থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন! প্রকৃত কি তাই? না, নিঃসন্দেহে তা সত্য নয়। কোনো শিল্পী, বাস্তবের জীবন থেকে সরে গেলেও, নন্দলালের মতো প্রতিভায় আকাশছোঁয়া শিল্পীর অন্তর শেষদিন পর্যন্ত মাটির গভীরে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত ছিল। খ্যাতির শিখর স্পর্শ করেও কোনোদিন তিনি ভিন-গ্রহের বাসিন্দা হয়ে থাকেননি।সারাটা জীবন পরিপার্শ্বের সঙ্গে নিজেকে ওতপ্রোত জড়িয়ে রেখেছেন, প্রয়োজনে প্রতিমুহূর্তে নতুন করে নির্মান করেছেন নিজেকে। এই কারনে মহাত্মা গান্ধী থেকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর উপর পরম নির্ভর।এলমহার্স্ট একবার রবীন্দ্রনাথ কে বলেছিলেন ‘নন্দলালের সঙ্গ একটা এডুকেশন’- কথাটা যে বর্ণে বর্ণে সত্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ পিছন ফরে তাকিয়ে অবাক লাগে, কলাভবনের সর্বজনপ্রিয়শিক্ষক থেকে সমগ্র শান্তিনিকেতনের ‘মাস্টারমশাই’ হয়ে ওঠা নন্দলালের মধ্যে এমন কি জাদু ছিল- যে আশেপাশের সকলে তাঁর প্রতি এমন তীব্রভাবে আকর্ষিত হয়েছেন?
শুধু প্রখ্যাত শিল্পী নয়, ব্যক্তি নন্দলাল ও শিক্ষক নন্দলালকে জানাতে এই বই- পঁইয়তাল্লিশটি স্মৃতিকথায় গাথা এক আশ্চর্য মালা। যেখানে শিল্পতত্ত্বের অনুসন্ধান ছাপিয়ে ফুটে উঠেছে মানুষ নন্দলালের ছবি।
বইয়ের নাম-মাষ্টারমশাই নন্দলাল বসু
সম্পাদক-সুশোভন অধিকারী
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি