বাল্মীকি আশ্রমে সীতা এবং তারপর..
বিতস্তা ঘোষাল
প্রচ্ছদ - ইন্দ্রনীল ঘোষ
রামায়ণের মুখ্য চরিত্র সীতা।তাঁকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে যাবতীয় কাহিনি। সেখানে সীতা জনক দুহিতা, পিতার বাধ্য কন্যা, যার আগমণে মিথিলায় দীর্ঘ খড়া ঘুচে বৃষ্টি আসে। এর পর সীতা রামের ঘরণী, তার মতো স্ত্রী পাওয়া ভার। স্বামীর সঙ্গে তিনি বনবাসে যান, এবং রাবণ তাঁকে হরণ করে।এই পর্যন্ত সীতা যা যা করেছেন সব রামের অনুগামী হয়ে, এমনকি যুদ্ধ শেষে অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশ করে নিজের সতীত্বর পরিচয় দিয়ে অযোধ্যার প্রাসাদে প্রবেশ করলেন।কিন্তু তারপরেও রাম তাঁকে প্রজাদের কথা শুনে নির্বাসনে পাঠালেন।এবার তাঁর ঠাঁই হল বাল্মিকী আশ্রমে।
এই গল্পের সূচনা এখান থেকেই।এতকাল সীতা যে যে নারী চরিত্রকে দেখেছে, সঙ্গ পেয়েছ- তাঁদের সঙ্গে বাল্মিকী আশ্রমে তাঁর দেখা হল এবং শুরু হল নিজেদের কথা, যেখানে প্রশ্ন উত্তর, অপমান, যন্ত্রণা, লাঞ্ছনা, ও নিজেদের প্রতিবাদের ভাষা নিজেরাই নিজের মতো খুঁজে নিচ্ছেন। এ তাই রামের রামায়ণ নয়, বরং নারীর নিজস্ব আলেখ্য যা সমাজকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়, ভাবায় এবং নিজের সঙ্গে একাত্ম হতে সাহায্য করে। এই সীতা ও এই নয়
নারী- সুনয়না,অহল্যা, রেণুকা, শান্তা,মন্দোদরী, সরমা,সুলোচনা, তারা,ও মন্থরা
তাই সব অর্থেই সব যুগের, সময়ের প্রতিভূ।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি