চৈতন্যদেব যে আদর্শে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন তা সর্বজনীন এক চিরন্তন আদর্শ। জীবের প্রতি দয়া এবং কায়মনে ঈশ্বরে ভক্তি, আর সেই ভক্তিকে উদ্দীপ্ত করার জন্য
নাম-সংকীর্তন। এর উপরই চৈতন্যদেবের প্রবর্তিত ধর্ম প্রতিষ্ঠিত।
জাতি-বর্ণ নির্বিচারে সব মানুষ সমান।
সকলেই আধ্যাত্মিক সাধনার অধিকারী হতে পারে। এই সত্যই তিনি প্রমাণ করে গেছেন। তাঁকে কেন্দ্র করে এবং তাঁর আদর্শে বাঙালির সংগীত, সাহিত্য, শিল্পকলা এবং দার্শনিক চিন্তা ভাবনা বিভিন্ন ভাবে সঞ্চারিত হয়েছে। এটাই প্রকৃতার্থে বাঙালি জাতির প্রথম জাগরণ।
বাঙালির চৈতন্যলাভ : প্রবীর সেন