বাংলা কথাসাহিত্যে সংলাপ
সুনীল দাশ
কথাসাহিত্যে ক্রমবিবর্তনের ধারা আলোচনার সময়, এর অন্যতম উপাদান সংলাপকে স্বভাবতই একটি সামগ্রিক শিল্পকর্মের অঙ্গ ছাড়া, অন্য কোনো বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ দেশকাল-নিরপেক্ষভাবে লেখকদের কাছে সংলাপ একটি একান্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পসাপেক্ষ সাধনার ফসল রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই কৌতূহল জাগে, আমাদের সাহিত্যে চর্যাপদের ভুসুকপাদ রচিত সেই হরিণীর সংলাপ থেকে প্রায় হাজার বছরের কালপর্ব অতিক্রম করে আজকের কথাসাহিত্যের উপাদান রূপে সংলাপ তার যাত্রাপথে কীভাবে এগিয়ে গেছে, তাকে বিশ্লেষণ করবার।
আমাদের কথাসাহিত্যের সংলাপ ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাবের আগে থেকেই গড়ে উঠতে উঠতে-আধুনিক কথাসাহিত্যে এসে কীভাবে মিশল এবং তারপর, একীকরণ, সংক্ষিপ্ততা, বাস্তবতাবোধ এবং সাহিত্যগুণে অন্বিত হয়ে বঙ্কিমচন্দ্র থেকে তারাশঙ্কর পর্যন্ত বিচিত্র গতিপথে এগিয়ে এল কোন বৈশিষ্ট্য নিয়ে, তার পদচিহ্ন বিশ্লেষণ করার আগ্রহেই এই পর্যালোচনার সূত্রপাত।
লেখক পরিচিতি :
সুনীল দাশ (১৯৪৩-২০২৪) : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম, এ, পিএইচ. ডি.। তিন শতাধিক ছোটো গল্প, ষোলোটি উপন্যাস, দশটি নাটক, ভ্রমণকথা, প্রবন্ধ, ছোটোদের গল্পের এই লেখক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন বাংলাভাষা ও সাহিত্য। গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটের মেধাবৃত্তি, সুইডেনের উত্তরাপথ সাহিত্য পুরস্কার, বিমল মিত্র সাহিত্য পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কারে সম্মানিত লেখকের গল্প ও উপন্যাস অনূদিত হয়েছে জার্মান, ইংরেজি, মরাঠি, হিন্দি, তামিল, তেলেগু, অসমিয়া ইত্যাদি ভাষায়।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত নাট্যদল সংবর্ত, তাঁর নির্দেশনায় নাট্যপ্রযোজনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে ইংলন্ডের ম্যানচেস্টার, বার্মিংহাম, অক্সফোর্ড, লন্ডন এবং জার্মানির বার্লিন, টেম্পলিন ও দেশের বিভিন্ন শহরের নাট্যোৎসবে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি