চর লবণগোলা
দেবকুমার সোম
ভারত-বাংলাদেশ বর্ডার সীমানায় নদীভাঙনে সৃষ্ট চর লবণগোলা; এক ডুবো-সূর্য সময় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে সেখানে ধেয়ে আসে এক মারণ ঝড়। সেই ঝড়ে তোলপাড় হয় মানুষের সাবেক বেঁচেবর্তে থাকা। র্যাডক্লিভলাইনের চকখড়ির দাগে রাষ্ট্র হুকুম জারি করেছে দূর হটো; তফাত যাও। তুমি বিদেশি। তুমি অনুপ্রবেশকারী। অথচ, তারা কখনো কোথাও মাথা তুলে মানুষের সম্ভ্রম আদায় করতে চায়নি। তবু রাষ্ট্রের কাছে তারা ভয়াবহ ভাইরাস।
রাষ্ট্রবাদের সিম্বলগুলো যখন মানুষকে ছিন্নমূল করে দেয়, তখন তাদের খোঁজখবর কে আর রাখে? তারা কি সত্যিই মুছে যায় ইতিহাসের বিবর্ণ পৃষ্ঠার সঙ্গদোষে? মুছে দেওয়া যায়? ইতিহাস সাক্ষী সিএএ হোক কিংবা এনআরসি; হেরো মানুষের ধ্বংসকালীন সময়ে একটি অদৃশ্য আলপিনও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভয়ংকর এক আয়ুধ হয়ে ওঠে।
লেখক পরিচিতি :
সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যের বিকল্প ধারার লেখক দেবকুমার সোম। যিনি বলে থাকেন তাঁর লেখায় বিষয় নেই, বক্তব্য আছে। ফলত, তাঁর লেখার পাঠসংহতি পাঠকের সঙ্গে এক নিরবচ্ছিন্ন সেতু তৈরি করা। যা একইসঙ্গে অন্তর্ঘাতমূলক ও লাবণ্যময়। রাষ্ট্রের পক্ষে যা সহ্য করা অস্বস্তিকরও বটে।
তাঁর সামগ্রিক লেখালিখি জুড়ে আছে রাজনৈতিক দর্শন। সে-দর্শন তাঁর উপন্যাস-গল্প-প্রবন্ধে অবভাসিত। অগণিত পাঠকের মনোরঞ্জনের দায় তাঁর নেই। সাহিত্যের বাজার-অর্থনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। ভিড়ে হারাবার মতো বিলাসে তাঁর ঘোর অনিচ্ছা। তাই পুরস্কার-তিরস্কার সভাসমিতি তিনি এড়িয়ে চলতেই স্বস্তিবোধ করেন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি