গিলগামেশ
ছন্দা বিশ্বাস
প্রচ্ছদ: স্বর্ণেন্দু ঘোষ
উরুক সম্রাট গিলগামেশের কীর্তিকাহিনি বর্ণিত হয়েছে একাদশ মৃত্তিকা ফলকে। সপ্তম শতকে আসুরবানিপালের গ্রন্থাগার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পোড়া মাটির ফলকগুলি। আক্কাদীয় হরফে লেখা এই মহাকাব্যে বর্ণিত আছে বীর গিলগামেশের স্বর্গারোহণের কাহিনি। বৈচিত্র্যময় নানা ঘটনা বিধৃত হয়েছে এই উপন্যাসে। মহাকাব্যিক বীর রস সঞ্চারের নানা রসদ মজুত আছে উপন্যাসের পাতায় পাতায়। শৃঙ্গার, বীর ও শান্ত রস ছাড়াও ভয়াল, বীভৎস, করুণ ইত্যাদি নানা রসের সমাহার। আছে প্রকৃতি বর্ণনার সঙ্গে যুদ্ধ বিগ্রহ, স্বর্গ ও মর্ত্যের বর্ণনা। উঠে এসেছে পৌরাণিক দেব-দেবীদের চরিত্রের নানা অন্ধকারময় দিক। লেখকের অসামান্য নৈপুণ্য প্রকাশ পেয়েছে গিলগামেশের চরিত্র সৃষ্টিতে। নানা মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, টানাপোড়েন, ঐশ্বর্যের ভিতরে বাস করেও যিনি নিঃস্ব। যাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য অমরত্ব প্রাপ্তি। সেই কারণে চিরজীবনের দেশে যাত্রা। স্বর্গারোহণের সেই অভিযান রহস্যময় আর বিপদসংকুল সেটা সুনিপুণভাবে গল্পের ছলে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন লেখক। তাঁর ভাষার জাদুকাঠির স্পর্শে পুরাণের কাহিনি যেন নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি