হঠাৎ শাওন

(0 পর্যালোচনা)

লিখেছেন:
সাথী দাস
প্রকাশক:
লালমাটি

দাম:
₹350.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

হঠাৎ শাওন

সাথী দাস

শব্দের মালা গেঁথে উদ্দেশ্যহীনভাবে অতিক্রম করেছিলাম দীর্ঘ পথ। ইচ্ছে ছিল শাওন যেখানে ভাদরের সুরে সুর মেলায়, সেখানে কোনও এক ঘাসে ঢাকা অব্যবহৃত উপত্যকায় তোমাকে খুঁজব। কিন্তু শেষে দেখলাম পথের বাঁকে জরাজীর্ণ বেরঙিন পরিত্যক্ত এক ক্যানভাস দাঁড়িয়ে রয়েছে আমারই অপেক্ষায়। এ যেন তোমার জগতের প্রবেশদ্বার! শ্রাবণের যত রূপ-রং সব ধুয়ে তৈরি হয়েছে রূপকথার এক অলীক রাজ্য। রাজসিংহাসনে বসে রয়েছ তুমি। স্বেচ্ছায় নির্বাসন গ্রহণ করেছ। তোমার মুখের প্রতিটি রেখায় বিচ্ছেদের কম্পন স্পষ্ট। গভীর দু'চোখে অদ্ভুত এক দীপ্তি। সে চোখের দিকে অবাক হয়ে চেয়েছিলাম আমি। ভ্রান্ত নাবিকের মতো ডুবেছিলাম তোমার চোখের গভীরতায়। আমার সঙ্গে ছিল ভালোবাসার নৈবেদ্য। তুমি হাতের অস্থির ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিলে, তোমার ঐ জরাজীর্ণ দেহে বন্দি রয়েছে যে বাল্যমন, সেই মনের আকাশে শ্রাবণের বজ্রগর্ভ মেঘ মারণ রোগের মতো বাসা বেঁধেছে। আমি তোমার সঙ্গে ভাসতে চেয়েছিলাম। বিলীন হতে চেয়েছিলাম দিগন্তরেখায়। চেয়েছিলাম সে রাতে খুব বৃষ্টি নামুক। সকল অভিমান ধুয়ে যাক। পথঘাট পিছল হোক। জমা জলে পা ডুবিয়ে আমরা লোকালয় ছেড়ে অববাহিকায় পৌঁছব। কিন্তু পথ চলা শুরু হতেই দেখলাম, অলীক রূপকথার রাজ্যে কেবল রানি রয়েছে। তার কোনও রাজা নেই। কামনার বাস্তবায়ন থাকতে নেই.... বন্যায় ছাপিয়ে গেল আমার দু'চোখের কোল। শ্রাবণকে সঙ্গী করে একাকী ঘরে ফিরলাম।"

ঝাপসা হয়ে এসেছিল অন্তরীণের দৃষ্টি। বুকের ওপর চেপে বসেছে মনখারাপিয়া মেঘ। হাতের কলম মৃদু কাঁপছে। কপালে বিনবিনে ঘাম জমা হয়েছে। এই পৃষ্ঠাটা কি ও ছিঁড়ে ফেলবে? অন্তরীণ যতবারই মিলন লিখতে চেয়েছে, বিচ্ছেদ এসে ওর কলমে ভিড় করেছে। কিন্তু এবার শুকতারা আর আলাপনকে কল্পনায় রেখে ও কেবল প্রাপ্তির গল্প লিখবে। ওর জীবনের শ্রেষ্ঠ গল্প। এই একটা পৃষ্ঠা ওর নিজের। একান্তই নিজস্ব স্বীকারোক্তি। শ্রাবণ ওর একার অধিকৃত। প্লাবন ওর মনের গোপন জানালার পাশে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রয়েছে। তাকে জনসমক্ষে আসার অনুমতি অন্তরীণ দেবে না। বাঁধের কাছে বসে ও নিজে পাহারা দিয়ে চলেছে। পেরিয়ে গেছে বহুকাল। বয়ে যাচ্ছে জন্ম-জন্মান্তর.... সময়ের হিসেব নেই...

***************************************************************অপেক্ষা, আক্ষেপ, একাকীত্ব, খুনসুটি, প্রেম, ভালোবাসা, রোম্যান্স.... এমন অনেক টুকরো মুহূর্ত এবং অনুভূতির কোলাজ অক্ষরবন্দি করার চেষ্টা করা হয়েছে এই উপন্যাসটিতে। তবে এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে রয়েছে বৃষ্টি, শ্রাবণ। জীবনের কোনও এক পর্যায়ে নীরবে আমাদের মন ভিজে ওঠার মতো স্পর্শকাতর মুহূর্তের সাক্ষী আমরা সকলেই কমবেশি হয়েছি। উপন্যাসের বাঁকে অজস্র চরিত্র অনাদরে বেড়ে ওঠা বুনোফুল কিংবা মুক্তোর মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও, এই উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র শ্রাবণ। যে প্রত্যেকটি চরিত্রকে বৃষ্টিভেজা জুঁইফুলের মতো এক সুতোয় বেঁধেছে।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat™   |   © All rights reserved 2024.