ঝাড়খণ্ডের লোকগীতে পারিবারিক জীবন
গৌতম মুখোপাধ্যায়
গীত বা গান শুধুমাত্র শোনার জিনিস নয়, তার চেয়েও বেশি অনুভব করার বিষয়। আর তা লোকগীত হলে তো বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কোনো কিছু সরাসরি কাউকে বললে সে শোনেনা, যখন সেটি গীতের মাধ্যমে তাঁদের কাছে তুলে ধরা হয়, তখন সেটি বেশি কার্যকরী হয়। মনুষ্য জীবনের অনেক না বলা শব্দ, বাক্য যেগুলি গীতের মাধ্যমে সমাজজীবনে শ্রুতিমধুর হয়ে ধরা দেয়, মনকে নাড়া দেয়, আত্মিক শান্তি এনে দেয় এবং আপাদমস্তক এক অন্যরকম ছন্দে নাচিয়ে তোলে।
বিশেষকরে লোকগীতে বহুল অর্থবহ শব্দ এবং বাক্যের ব্যবহার হয়, যা সাধারণ মানুষ নিজেদের সাথে মেলাতে পারে, আর মেলাতে পারে বলেই লোকগীতি বিপুল সমাদর লাভ করে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ভৌগোলিক সীমানা মেনে জেলা থেকে রাজ্য, প্রত্যেকটি জায়গার আলাদা আলাদা বিশেষত্ব আছে, যা লোকগীতে ধরা পড়ে। নায়ককে উদ্দেশ্য করে নায়িকার মনোবেদনা তীব্র রূপ নেয়—
'কাঁসা ভাঙলে কাঁসা জড়ে
মন ভাঙলে নাই জড়ে,
জড়ালো নাই জড়ে বৃক্ষের পাতা হে
যাও হে বঁধু নিশি ছিলে যথা।'
—এইরকম আরও অনেক অর্থবহ গীত এর সমাহার এই বইটি। পূর্ব ভারতের একটি স্থলবেষ্টিত রাজ্য ঝাড়খণ্ড, যা পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা দের পারিবারিক জীবনশৈলী আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব গৌতম মুখোপাধ্যায় এর 'ঝাড়খণ্ডের লোকগীতে পারিবারিক জীবন' বইটি অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি