কাব্যসমগ্র (প্রথম খণ্ড)
লেখক : বিনয় মজুমদার
সেসময় কবিতা নিয়ে মিছিল হত এ শহরের বুকে। স্লোগান উঠত ‘আরও কবিতা পড়ুন’। সেই সময় কবিতা লিখত এক তরুণ। স্কুলে থাকতে অল্পস্বল্প। কলেজে এসে নিয়মিত সিনেট হলের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সে বক্তৃতা দিত অন্য সব তরুণ কবিদের সঙ্গে। বলত- ‘আমি এখন যা লিখছি সে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক। তার মানে ভবিষ্যতে আমার কবিতা ছাত্রছাত্রীরা পড়তে বাধ্য হবে। সেহেতু এখন আমার কোনো পাঠক না থাকলেও চলবে। কবিতা লিখবে বলেই তার গ্রাম থেকে শহরে আসা, চাকরির নিশ্চিন্ত ঘেরাটোপ ছেড়ে বেরিয়ে আসা। বের হল তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘নক্ষত্রের আলোয়’। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা কবিতাপ্রেমীর নোটবুকে যোগ হল আরও একটি নাম-বিনয় মজুমদার, কবিতার পাগলামি যার জীবনভর কাটল না। লিখলেন- ‘ভালোবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম? / লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝরে যায়-’ তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থরূপে পাঠকের হাতে এল সেই কিংবদন্তি বই- ‘গায়ত্রীকে’। প্রথম সংস্করণে চোদ্দোটি কবিতা। তারপর আরও কিছু বাড়ল। শেষমেশ সাতাত্তরটি কবিতা নিয়ে নাম বদলে এই বই-ই তৈরি করল ‘ফিরে এসো চাকা’-র ইতিহাস। তারপর থেকে ক্রমেই হাতে এল ‘অধিকন্তু’, ‘অঘ্রানের অনুভূতিমালা’-র মতো গ্রন্থগুলি। বিনয় রুশ থেকে বাংলায় অনুবাদ করলেন কবিতা। এভাবেই আস্তে আস্তে আমরাও একদিন এক হয়ে গেলাম তার কাব্য অনুভবে। জানলাম-‘এইভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ- ভবিষ্যৎ ডাকে, / ডাক দিয়ে যায় সব সর্বশ্রেষ্ঠ হৃদয়।’ বাংলা কবিতার সেই ভিন্ন স্বরের অধিকারই ধরা থাকল এখানে, তার প্রথম প্রকাশিত পাঁচটি কাব্যগ্রন্থের সমাহারে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.