স্নানঘর ও ইচ্ছেসমূহ
লেখক : শ্যামশ্রী বিশ্বাস সেনগুপ্ত
কল্পনা যখন শব্দের হাত দ্বিধাহীন ধরে আর হেঁটে যায় এলোমেলো কিংবা সহজ-স্বচ্ছন্দ পায়ে, তখনই কি বিগ ব্যাং থিয়োরির মতো, আচমকা এক-আধটা কবিতা উঠে আসে? কাব্যগ্রন্থ পড়ার যেমন কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই, তেমনই কবিমনকে পড়তে চাওয়াও বাহুল্য। অবচেতন অথবা স্বপ্নের ভাষায় কেউ কবিতা লিখলে, তার উৎস-প্রেরণা-মর্মমূল ছুঁয়েছেনে দেখতে যাওয়া অর্থহীন! বরং কবিতার কিছু শব্দ সীমাহীন ব্যঞ্জনার আয়োজনে পিঁড়ি পেতে বসলে আলো-আঁধারির গলিঘুঁজিতে চোখ বুজে পথ চলে, আধচেনার স্পর্শ নিতে দিব্যি লাগে। একটা মন-কেমন উপলব্ধি, একটা চিনতে না পারা প্রিয় কষ্ট, একটা কাছের মানুষের স্মৃতিমাখা হারিয়ে যাওয়া রুমাল বহুদিন বাদে পাঞ্জাবির পকেটে খুঁজে পাওয়ার মতো তীব্র সুখ— এ সব নিয়েই কবিতা। শ্যামশ্রী বিশ্বাস সেনগুপ্তর কাব্যগ্রন্থ ‘স্নানঘর ও ইচ্ছেসমূহ’ এই জীবন-কথারই এক অনুপম কবিতা-ভাষ্য। যে সময়ে রিক্ত-ক্লান্ত মানুষ বাড়ি ফেরে, ধুলো উড়িয়ে আস্তানায় ফেরে পোষ্যরা; পাখিরা চিৎকারে গাছ মাথায় তুলে কোটরে ফেরে জাদু বাস্তবতায় আর গাছেরা ফেরে সম্বিতে; সেই অকারণ গোধূলিতে চিঠিরাও কি ফিরে আসে ডাকঘরে? ব্যক্তিগত ভ্রমণ যখন কাহিনি ছাড়িয়েও ছড়িয়ে পড়ে পঙক্তি-বিন্যাসে আর বুনে চলে অলোকসামান্য এক জীবনদর্শন; প্রাচীন তার যাবতীয় প্রাচীনতা নিয়ে ছন্দে-অন্তমিল বা অমিলে এলিয়ে থাকে কাপ্লেটে আর ইচ্ছেরা ঝিম ধরে জল-ঝর্ণায়: তখনই, ঠিক তখনই হয়তো কবিতার জন্ম হয়।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.