মায়া মার্কেট
লেখক : নিবেদিতা আচার্য
ডাকিনী বিদ্যা সিদ্ধ নিবেদিতা তাঁর কবিতায় অনুকারের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন, এনহেডুআন্নার উপাসনা গীতের সঙ্গে। সামনে এসে দাঁড়ায় জ্যামিতির আশ্চর্য আকার আর পদার্থের ভ্যালু। তিনি কথা বলেন বিপুল অধ্যয়নকে আস্তিনে লুকিয়ে। পাঠক প্রবেশ করেন মায়া মার্কেটের অলীক ভুবনে। সত্য ও সংকেত কিংবা একই ছন্দে শঙ্কর ও মায়া প্রতিভাত হয়।- ‘আমার অর্ধেক শরীর শায়িত উড়ন্ত ডানায়, অর্ধেক পৃথিবীর বিছানায়’। কল্পনার সোমরস পাঠক পান করেন জাদুর স্বর্ণভুক্তার থেকে। কবির দুরন্ত আশা, সুলক্ষণ যুক্ত স্বপ্নের ভেতর হেঁটে যাবে জাতক। সেই জাতককে শক্তি জোগাবে চন্দ্রদেবতা শিস। রক্তের মধ্যে কলম ডুবিয়ে গূঢ় ধারা বিবরণী লিখে যান তিনি। যেখানে এক হাজার এক মরুভূমি, অন্ধ ঝড়, টায়ার্ড রাত্রিকে জয় করে জাতক লিখে ফেলবে ‘কোড অব হাম্বুরাবি’। ‘আলোয় সেঁকা শস্য চূর্ণের মণ্ড সম্বল করে’ ‘মায়া মার্কেট’ এক তীব্র অনুসন্ধানের যাত্রাপথ। সে যাত্রাপথের গুগল ম্যাপ পার হয় ঊর্দ্ধের গ্রহ-নক্ষত্র-নেবুলা-আকাশতলের নীচে লাজুক ধরিণীর সীমান্তে উর্ণা, পাতলাবাড়ি, খুদিয়ানদ, আয়ব ঘাস। সে যাত্রাপথে লেগে কাব্যে একা দোতলাবাড়ি, যার দেয়ালগুলো কাছাকাছি; ব্যালকনি থেকে নিবিড় ডাক ‘ঢুলি ও ঢুলি’। হলুদ দোতলায় ক্লান্ত সূর্যদেবতা শামাস বিকেলের নরম রোদ ফেলে, শূন্য পাখি ওড়ে।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.