খুদে গোয়েন্দা
সম্পাদনা : সুগত রায়
বাংলা সাহিত্যে আমরা অনেক ক্ষুদে গোয়েন্দাদের পেয়েছি যেমন শরদিন্দুর বিনু, সমরেশ বসুর গোগল, নলিনী দাসের গোয়েন্দা গণ্ডালু, ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের পঞ্চপাণ্ডব, আনন্দ বাগচীর সুনন্দ, সদ্যপ্রয়াত হীরেন চট্টোপাধ্যায় সৃষ্টি করেছিলেন দুটি ক্ষুদে গোয়েন্দা রাজা ও বিচকে। আশাপূর্ণা দেবীর ক্ষুদে গোয়েন্দা দুজন ট্যাঁপা ও মদন। এইসব অনেক ক্ষুদে গোয়েন্দাদের নিয়েই এই বইটি।
-------------
গোগোল মি. গাঙ্গুলির সঙ্গে অন্য ঘরের ভিতরে ঢুকল। সেটা একটা শোবার ঘর। ঘরের সঙ্গেই বাথরুম। এক পাশে কাঠের পার্টিশন দেওয়া একটা ঘেরাওয়ের মধ্যে। ব্রাকেটে ঝোলানো ট্রাউজার শার্ট কোট শাড়ি জামাও রয়েছে। আর একটা ড্রেসিং টেবিল। মি. গাঙ্গুলি গোগোলকে বাথরুমের দরজা দেখিয়ে বললেন, 'আমি যাচ্ছি। তুমি ঘুরে এসো।'
মি. গাঙ্গুলি চলে গেলেন। গোগোল বাথরুমের দরজা পর্যন্ত গেল। মি. গাঙ্গুলি চলে যেতেই, ও কাঠের পার্টিশনের মধ্যে ঢুকে গেল। মি. গাঙ্গুলি যে কোটটা পরে গিয়েছিলেন, সেটা ওর চোখে পড়ল। প্রত্যেকটা পকেট হাতড়ে, সেই বুদ্ধ মূর্তি পেল না। গোগোলের লজ্জা আর ভয় দুই হল। কিন্তু ওর বিশ্বাস একেবারে অনড়। ও পাগলের মতো মি. গাঙ্গুলির সব ট্রাউজার আর কোটের পকেট হাতড়াতে লাগল। শেষ পর্যন্ত একটা নীল জ্যাকেটের পকেটে হাত ঢোকাতেই, একটা কাগজের প্যাকেট পাওয়া গেল। গোগোল প্যাকেটটা খুলতেই, বেরিয়ে পড়ল সেই বুদ্ধ মূর্তি। ওর বুকের মধ্যে তখন ধক ধক করছে, নিঃশ্বাস পড়ছে জোরে জোরে। তাড়াতাড়ি সেটা নীল জ্যাকেটের পকেটে ঠিক জায়গায় রেখে ফিরে গেল বসবার ঘরে........
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি
Boier Haat™ | © All rights reserved 2024.