প্রাচীন ভারতীয় ভাববাদ ও আধুনিক বিজ্ঞান

(0 পর্যালোচনা)


দাম:
₹250.00

পরিমাণ:

মোট দাম:
শেয়ার করুন:

প্রাচীন ভারতীয় ভাববাদ ও আধুনিক বিজ্ঞান 

লেখক - অশোক মুখোপাধ্যায়

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর থেকে ভাষা হিসেবে সংস্কৃত নির্বাসিত হওয়ার পর সাধারণভাবে প্রাচীন গ্রন্থাদি পঠনের ইচ্ছা, সুযোগ এবং সমাজে সেই জ্ঞানের মান্যতা তলানিতে ঠেকতে ঠেকতে অবশেষে একদিন অদৃশ্য হয়ে, বিদ্যালয় স্তরে জ্ঞান “নরঃ নরৌ নরাঃ”-তেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।

লোকমুখে শুনে এবং বেদ বা এই জাতীয় প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র ও দর্শনের ধারণাগুলি সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে কিছু মানুষ বাবা-মা-দাদু-ঠাকুমা-দিদিমাদের কাছ থেকে শ্রুতিপথে ইতিউতি কিছু জেনে সেগুলিকেই ‘অথেনটিক’ হিন্দু শাস্ত্র ও দর্শন রূপে গণ্য করে আসছিলেন। বলা বাহুল্য, আগের প্রজন্মের এই বাবা-মা, বা তার আগের প্রজন্মের দাদু-দিদিমা-ঠাকুরদা-ঠাকুমাদের কাছে গচ্ছিত এইসব ধারণা এসেছিল আবার একই কায়দায় তাঁ দের পূর্ব প্রজন্মের কাছ থেকে; আর কে না জানে যে যাচাই করার সুযোগের অভাব এবং তাতে অনীহার কারণে গল্পের গরু গণেশের মাথায় প্লাস্টিক সার্জারি হয়ে একদিন সমাজে সহসা উদিত হয়ে পাড়া কাঁ পিয়ে দেয়।

এই ‘অজ্ঞানতা’-র অন্ধকূপকে সম্বল করে সুযোগসন্ধানী রাজনীতি ব্যবসায়ীদের প্রচারের গাড়ি আমাদের অহরহ জানিয়ে চলেছে ভারতীয় সভ্যতার ‘প্রাচীনত্ব’ এবং সেই “প্রথম সাম রব” মুখরিত তপোবনে বসে, স্রেফ আধ্যাত্মিক চিন্তার মাধ্যমে আমাদের প্রাচীন মুনিঋষিবৃন্দ আধুনিক বিজ্ঞানের যাবতীয় জ্ঞান ও বিজ্ঞান জানতে পেরে তা নাকি লিপিবদ্ধ করে রেখে গেছেন। বেদ, উপনিষদ এবং আরও অনেক স্বল্প ও বিস্তর পরিচিত ‘আকর গ্রন্থ’গুলিতে এই সব বিষয়ে সার কথা বলে গেছেন। সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত, মহামহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের কথায়-

'বেদ কী জিনিস? ভিন্ন ভিন্ন কালের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন কারণে ভিন্ন ভিন্ন মহাকবি প্রণীত কতগুলি কবিতা, গান ইত্যাদির সংগ্রহ মাত্র।'

খেয়াল রাখতে হবে যে, যে গ্রন্থ যত প্রাচীন, সেই গ্রন্থে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যবেক্ষণের পরিবর্তে থাকবে অঢেল কল্পনার অবাধ মিশ্রণ, স্রেফ সেই প্রাচীন কালের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্যই।

প্রাচীন ভারত মানেই কি “ব্রহ্ম সত্য জগত মিথ্যা”? যুক্তি-বুদ্ধিহীন অমানবিক আচার আচরণের অবিশ্বাস্য আতিশয্য? নাকি ব্রহ্মা-ব্যতিরেকে যুক্তি-পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জগতকে বোঝা, প্রশ্নহীন আনুগত্যের জগদ্দল পাথরকে সরানোর দিকে পা-বাড়ানো? লেখক আমাদের এই প্রাচীন কাল থেকে এই দ্বিতীয় পথের দিশারী পথিকদের পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিতি ঘটিয়েছেন। 

একদিকে প্রাচীনত্বের জয়গান আর আধুনিক যুগের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে সেই আধুনিক বিজ্ঞানকে তাচ্ছিল্য করে যে জাগতিক ফায়দা আসে, আসছে এবং আগামীতে আরও তীব্ররূপে আসবে, এই দুই আপাত-বিরোধী বিষয়ের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজার পদ্ধতি বা ‘মেথডোলজি’-র সন্ধান দিয়েছেন অশোক মুখোপাধ্যায় তাঁ র এই অতি প্রয়োজনীয় বইটিতে।

এই বইয়ের জন্য এখনও কোন পর্যালোচনা নেই

বই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা (0)

প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য

অন্যান্য প্রশ্নাবলী

কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি

Boier Haat   |   © All rights reserved 2023.