রাজদ্রোহী (থ্রিলার)
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ
সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের আগুন নিভু নিভু। অন্যদিকে ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহ আসতেও দেরি আছে। বাংলার কুখ্যাত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর ঘটে গিয়েছে। যার স্মৃতি তখনও মুছে যায়নি মানুষের মন থেকে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন দিনে দিনে ঘৃণ্য থেকে ঘৃণ্যতর হচ্ছে। শাসন যত ভয়ংকর হচ্ছে তত বেড়েছে ডাকাতি। রঘু, বিশে, চিতে ইত্যাদি ডাকাতেরা কিংবদন্তিতে পরিণত হয়ে গেছে। এমন সময় কোম্পানির ডাকাতি দমন বিভাগে যুক্ত হলেন চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়।
যুক্ত হয়েই জানলেন এক জমিদারের বাড়িতে ডাকাতি হবে বলে চিঠি পাঠিয়েছে সোনা ডাকাত।
কে এই সোনা ডাকাত? তাকে ধরতে এবং তার অনুসন্ধান করতে গিয়ে বাংলার এক বিচিত্র সময়কালের অনুসন্ধান করতে বাধ্য হলেন চন্দ্রশেখর। একদিকে সন্ন্যাসী-ফকিরদের জাত-ধর্ম ইত্যাদির উর্ধে থাকা এক আদর্শ, অন্যদিকে ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদী অবদান অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান জগত। একদিকে ডোম-হাড়ি-বাগদি-কৈবর্ত্যাদিদের স্থানে স্থানে ডাকাতির মাধ্যমে শাসনের বিরোধিতা, অন্যদিকে ব্রিটিশের অনুগত নব্য জমিদার এবং ব্যবসায়ীকূল। একদিকে চাল থেকে নুন সব ব্যাবসাতে ব্রিটিশের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার, নীলচাষের দাদন দেওয়া শুরু ইত্যাদি, অন্যদিকে এক নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর নতুন স্বপ্ন স্বাধীনতা।
প্রবেশ করুন বা রেজিস্টার করুনআপনার প্রশ্ন পাঠানোর জন্য
কেউ এখনো কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেননি